দশ বছরে ১৭৯৭১৭ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দেখা হয়েছে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন বলেছেন, ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শূন্য পদে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৭১৭ জন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদে আজ টেবিলে উপস্থাপিত সরকারি দলের সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সংসদকে এই তথ্য জানান। প্রতিমন্ত্রী সংসদকে জানান, ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সরকার ৯ হাজার ৮১১টি বিদ্যালয়ের নতুন ভবন ও পুন:নির্মাণ করেছে। তিনি জানান, ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে ১ কোটি ৪০ লাখ শিশুকে শিওর ক্যাশ মোবাইল ব্যাকিংয়ের মাধ্যমে উপবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০১৯ সালে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত ১০ কোটি ৬০ লাখ ৩২ হাজার ৯১২ কপি পাঠ্য বই বিতরণ করা হয়েছে এবং বিদ্যালয় বিহীন এলাকায় ১ হাজার ৪৯৫টি বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। সরকারি দলের অপর সদস্য মোঃ মামুনুর রশীদ কিরণের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সংসদকে আরো জানান, সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ৭ হাজার ১৮ টি এবং সহকারী শিক্ষকের ২১ হাজার ৮১৪টি শূন্য পদের বিপরিতে ১৮ হাজার ১৪৭ জন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

আজ স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংসদের বৈঠকে মোঃ জাকির হোসেন সংসদকে আরো জানান, সরকারের নিয়োগ বিধিমালা ২০১১ ও ২০১৩ অনুযায়ী সহকারী শিক্ষকদের জেষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষকের পদে পদোন্নতি দেয়া হয়। প্রধান শিক্ষক পদে শতকরা ৬৫ ভাগ পদোন্নতিযোগ্য শূন্য পদে ৪ হাজার ১৬৬টি এবং শতকরা ৩৫ ভাগ হারে ২ হাজার ৮৫২টি পদ শূন্য রয়েছে বলে প্রতিমন্ত্রী সংসদকে জানান। তিনি বলেন, তিন পার্বত্য জেলায় জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে স্থানীয়ভাবে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়।

জাতীয় পার্টির সদস্য মুজিবুল হকের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন সংসদকে আরো জানান, সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি সমাধানে তৃতীয় প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কমসূচি(পিইডিপি-৩)-এর আওতায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৮ হাজার ৫শ’ওয়াশব্লক নির্মাণ করা হয়েছে। পিইডিপি-৪ এর আওতায় আরো ৫৮ হাজার ওয়াশব্লক নির্মাণ করা হবে বলে প্রতিমন্ত্রী সংসদকে জানান। তিনি আরো জানান, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ৬৫ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পযর্ন্ত স্যানিটেশন এবং হাইজিন সুরক্ষার জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়। সরকারি দলের সদস্য বেগম শামসুন নাহারের অপর এক প্রশ্নের জবাবে জাকির হোসেন বলেন, উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর আওতায় ৬৪ জেলায় শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। ৬ মাস মেয়াদী উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় সারাদেশের ন্যায় গাজীপুরে ১৮ হাজার নারী ও পুরুষকে মৌলিক স্বাক্ষরতা প্রদানের কাজ আগামী মার্চ মাসে চালু করা হবে। তথ্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান