দীর্ঘ সময় ঘরে থাকার সুফল ধুলিস্যাৎ হবার আশঙ্কা!

দেশে এখনও করোনার সংক্রমণের হার নিম্নমুখী হবার লক্ষণ নেই। অথচ, মানুষের মাঝে মাঝে গা ছাড়া ভাব। তারওপর ছুটি বাড়ানো হলেও সীমিতভাবে খুলছে শপিং মল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জনসমাগমে শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করা একরকম অসম্ভব। তাতে দীর্ঘ সময়ে ঘরে থাকার সুফল ধুলিস্যাৎ হবার আশঙ্কা তাদের। লকডাউন শিথিল করার কৌশল বিজ্ঞানসম্মত না হলে পরিস্থিত সামাল দেয়া কঠিন হবে বলে মনে করেন তারা।

করোনা মোকাবিলায় মানুষের ঘরে থাকা নিশ্চিত করতে কোন দেশ লকডাউন, কোথাও বা কারফিউ জারি করতে হয়েছে রাষ্ট্রগুলোকে। বাংলাদেশে অবশ্য একটু ব্যাতিক্রমিভাবে ছুটি ঘোষণা করেছে সংক্রমণ ঠেকাতে। আর তা কতটুকু সফল কিংবা ব্যর্থ হয়েছে, সেটি বলার মতো সময় এখনো আসেনি। তবে দেশে সংক্রমণের সংখ্যার গ্রাফ এখনও প্রতিদিনই উপরের দিকে উঠছে।

ছুটির শুরুর দিকে যত মানুষ ঘরে ছিলো- দিন যত গড়াচ্ছে- ততই বেরিয়ে আসছে মানুষ।

জীবন নাকি জীবিকা, এটি এখন কোটি টাকার প্রশ্ন। রাজধানীর অবস্থা দেখে বলা যায় জনগোষ্ঠির একটি বড় অংশ জীবিকাকেই বেছে নিয়েছে। অনেকে আবার প্রয়োজন ছাড়াই ঘর থেকে বের হয়ে পড়ছেন। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের অবস্থা ইউরোপকিংবা আমেরিকার মত নয় বলেই আত্মতুষ্টিতে ভোগার কিছু নেই। সামান্যতম শিথিলতাও হতে পারে আত্মঘাতী।

না বের হয়ে উপায়ও নেই ১ কোটিরও বেশি মানুষের- কেননা তাদের দৈনিক আয় শূন্যের কোঠায় নেমে যাবার দশা। অন্য পেশাজীবিদের মাঝেও যেন একটু যেন মেকি স্বস্তি। অবশ্য এই স্বস্তির সাথে আছে ভয় আর আতঙ্কও।

রোজার ঈদ দরজায় কড়া নাড়ছে। আছে অর্থনীতি সচল করার তাড়নাও। তাই ঈদ সামনে রেখে সীমিত আকারে শপিং মল, দোকান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তে কিছুটা শঙ্কিত বিশেষজ্ঞরা।