দুই কোরিয়ার সম্পর্ক বাড়াতে বাস্কেটবল ম্যাচের আয়োজন

দুই কোরিয়ার টানাপোড়া সম্পর্কের উন্নতিকরনে বাস্কেটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছে।

পিয়ংইয়ংয়ে অনুষ্ঠিত হয় এ প্রীতি ম্যাচ। হাজার হাজার সমর্থকের সামনে শান্তি ও উন্নতির বার্তা দিয়েছেন খেলোয়াড়রা। এটাকে বলা হচ্ছে, বাস্কেটবল কূটনীতি। কিম জং উনের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে যার শুরুটা করেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কিংবদন্তি এনবিএ তারকা ডেনিস কিডম্যান। উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার বাস্কেটবল কূটনীতির বিস্তারিত থাকছে এবারের প্রতিবেদনে।

২০১৪ সালের কথা। প্রদর্শনী বাস্কেটবল ম্যাচ উপভোগ করছিলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। সেটা ছিল অবাক করা এক ঘটনা। একরোখা কিম খেলা পাগল। সেটা কারো জানা ছিলোনা। খেলার প্রতি তার গভীর ভালোবাসা । বুঝতে পেরেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের এনবিএ তারকা ডেনিস কিডম্যান। তিনিও সেসময় উপস্থিত ছিলেন কিমের সঙ্গে।

সেই যে শুরু। বাস্কেটবলে অনুরক্ত কিমের মন গলানোর এটাই সুযোগ। কিডম্যান বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেন তার সঙ্গে। দুই কোরিয়ার সম্পর্কে বরফ গলানোর চেষ্টা চালিয়ে যান। সম্প্রতি দুই কোরিয়ার শীর্ষ দুই নেতার মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহাসিক বৈঠক। তখনই দু’দেশের মধ্যে বাস্কেটবল ম্যাচ আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়।

এরই মধ্যে কিম জং উনকে নতুন করে চিনতে শুরু করেছে গোটা বিশ্ব। সবাইকে অবাক করে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন কিম। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বন্ধু, যুক্তরাষ্ট্রের কিংবদন্তি এনবিএ তারকা ডেনিস কিডম্যান।

কিমের উদার মানসিকতা দেখছে বিশ্ববাসী। উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইংয়ে এবার অনুষ্ঠিত হলো দুই কোরিয়ার মধ্য ঐতিহাসিক বাস্কেটবল ম্যাচ। সর্বশেষ ২০০৩ সালে মুখোমুখি হয়েছিলো দু’দেশ। কিম সেখানে উপস্থিত না থাকলেও ছিলেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

১২ হাজার ধারণ ক্ষমতার স্টেডিয়াম ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। খেলোয়াড়দের নানাভাবে উৎসাহিত করেন দর্শকরা। প্রথম ম্যাচটি ছিলও নারী দলের। দু;দলের খেলোয়াড়রা ভাগ হয়ে ম্যাচে অংশ নেন। লাল জার্সি পড়া দলের নাম পিস, সবুজ দলের নাম প্রসপারিটি।

দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা বৈরী সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে। যেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে খেলাধুলা। আরো নির্দিষ্ট করে বললে, বাস্কেটবল। দু’দেশের সম্পর্ক কেমন হবে তা সময় বলে দেবে। ততে আপাতত বাস্কেটবল যে নতুন আশীর্বাদ। সেটা বলার অপেক্ষা রাখেন।

আরজেড/