দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি কঠোরভাবে অনুসরণ করা হবে : জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, দেশের সকল পর্যায়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি কঠোরভাবে অনুসরণ করা হবে।
আজ সচিবালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সম্মেলন কক্ষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০১৭-১৮ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়েজ আহম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের রেক্টর ড. এম. আসলাম আলম বক্তব্য দেন।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অন্যতম নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল একটি দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠন করা। সে অঙ্গীকার পূরণে দেশের সকল পর্যায়ে দুর্নীতি দূরীকরণে সরকার বদ্ধপরিকর। তাই দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি কঠোরভাবে অনুসরণ করবে।
তিনি আরও বলেন, দুর্নীতির পাশাপাশি জঙ্গীবাদ ও মাদকদ্রব্যও দেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই দুর্নীতির পাশাপাশি, জঙ্গীবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধেও সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে।
ফরহাদ হোসেন বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে জনপ্রশাসনে দক্ষতা বৃদ্ধি, দুর্নীতি দমন ও শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। জনপ্রশাসনে নিযুক্ত কর্মচারিরা যাতে স্বচ্ছতা ও নিষ্ঠার সাথে দ্বায়িত্ব পালন করে নাগরিকদেও সেবা প্রদান করতে সক্ষম হয়, তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরী। সে লক্ষ্যে জনপ্রশাসনের আইন কানুন বিধি বিধানের পরিবর্তন ও সংস্কার সাধন করে একে অধিকতর যুগোপযোগি করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী এসময়সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা এবং রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানসমূহে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে রাষ্ট্রের সকল পর্যায়ে শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠার আহবান জানান।
তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে হলে সকলকে শুদ্ধাচার চর্চা করতে হবে।
তিনি এসময় জনগণকে দ্রুততম সময়ে মানসম্মত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে সরকারী কর্মচারীদের নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করারও আহবান জানান।
উল্লেখ্য, প্রতিমন্ত্রী পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে সার্টিফিকেট ও এক মাসের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ পুরস্কার তুলে দেন।