দেখে নিন মুড়িঘন্ট রেসিপি

মাছের মাথা দিয়ে মুড়িঘন্ট কার না পছন্দের। ছোত বড় সবাই এই রান্না খুব পছন্দ করেন। আজ আপনাদের জন্য থাকছে মুড়িঘন্টের সহজ একটি রেসিপি। আসুন তাহলে দেরি না করে দেখে নেই কিভাবে তৈরি করবেন এই রেসিপি।

উপকরন –

চিনিগুড়া চাল ২৫০ গ্রাম ভিজিয়ে শুকিয়ে ঝরঝরে করা, বড় কাতল/রুইমাছের মাথা ১টা, শুকনো জিরা ফোড়নের জন্য, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, আদা বাটা ১ চা চামচ, জিরা বাটা ১ চা চামচ, গরম মসলা বাটা ২ চা চামচ, মরিচ গুঁড়া ২ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া, লবণ পরিমান মতো, সয়াবিন তেল আধা কাপ, ঘি এক চা চামচ।

প্রনালী

প্রথমে গরম ডুবো তেলে মাছের হলুদ মাথাটা ভালোভাবে ভেজে নিতে হবে। এরপর আরেকটা কড়াইয়ে সামান্য তেলে জিরা ফোড়ন দিয়ে পেয়াজ দিয়ে লালচে করে ভেজে নিন। খেয়াল রাখুন যেন পুড়ে না যায়। এবার পোলাওয়ের চাল দিয়ে ভাজতে থাকুন, এবার একে একে সব মসলা কষাতে হবে। দেড় কাপ পানি দিয়ে সেদ্ধ হতে দিতে হবে। মাছের মাথাটা ভেঙে ওই মসলায় কষিয়ে নিন। তারপর কষে এলে আবার অল্প ঝোলের জন্য পানি ও গরম মসলা দিয়ে ঢেলে দিয়ে ঢেকে রাখুন কিছুক্ষণ। নামাবার আগে ঘি ছিটিয়ে দিন, এবার নামিয়ে এনে পরিবেশন করুন গরম ভাতের সাথে। একজন আমার এই এক্সক্লুসিভ মুড়িঘন্ট খেয়ে বলেছিলেন যে, বৌদি তোমার হাতের জাদু আছে 🙂 হা হা হা! সে আবার এই মুড়িঘন্টকে নামায়িত করেছিলেন “মাছের মাথার বিরিয়ানি” নামে। মুগডাল দিয়েও মুড়িঘন্ট রান্না করা যায়। সব উপকরণ প্রায়ই একই, শুধু চালের বদলে ডাল যোগ হবে আর পদটি ঝোল ঝোল হবে। সোনামুগ ডাল ভেজে নিয়ে কাচা মরিচ আর লবন দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে। এবার কড়াইয়ে তেল গরম করে জিরা আর শুকনা মরিচ ফোড়ন দিয়ে তাতে ডাল সম্ভার দিতে হবে। এবার সেখাবে ভেজে রাখা মাছের মাথা ভেঙ্গে দিতে হবে এবং একটু আদা বাটা, সামান্য পেয়াজ বাটা আর গরম মশলা আর গরম পানি দিয়ে বলক না উঠা পর্যন্ত রাখতে হবে। নামাবার আগে সামান্য ঘি ছড়িয়ে দিতে হবে।