দেশের ক্যাপিটাল মার্কেট এখন অনেক ম্যাচিউরড

মুহাম্মদ ফুয়াদ হোসাইন : ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে আমরা এ বছরের শুরুতে যেটা দেখতে পেয়েছি তা হলো, ছয় হাজার দুইশত ইনডেক্স থেকে এখন মার্কেট এরাউন্ড ফাইভ থাউজেন্ট থ্রি হান্ডেড পয়েন্টসের আশে পাশে ওভারিং এরাউন্ড করছে। একটা ম্যাসিভ ফল হয়েছে মার্কেটে। এই ফলটা কেন হয়েছে? এটা আমাদের একটু দেখতে হবে। এই যে ডিক্লাইন হলো মার্কেট এবং লাস্ট এক মাসে অলমোস্ট সেভেন পারসেন্ট মার্কেট ডাউন হয়েছে।
এখানে কিছু কারণ আমি আইডেনটিফাই করেছি। তার মধ্যে হচ্ছে, আমাদের এটা বুঝতে হবে বাংলাদেশের ইকোনোমি কিন্তু এখন মোর ইনটিগ্রেটড উইথ দ্যা গ্লোবাল ইকোনোমি। বাংলাদেশ কিন্তু আর আগের মতো যে লেস কানেকটেড ছিল অন্য ইকোনোমির সাথে সেরকম না। সো বাংলাদেশ ইজ পার্ট অব দ্যা গ্লোবাল ইকোনোমি।

তো এই জন্য আমরা রিসেন্টলি দেখতে পেরেছি, ফরেন ইনভেস্টররা যারা ফ্রুটফুলি ইনভেস্ট করে বাংলাদেশে, স্টক মার্কেটে ইনভেস্ট করে তাদের ইউএস মার্কেটে ইন্টারেস্ট রেট বেড়ে গিয়েছে। ইন্টারেস্ট রেট বেড়ে যাওয়াতে ইউএস ডলার অনেকে এপ্রিসিয়েট করেছে। ইউএস ডলার এপ্রিসিয়েট করাতে লোকাল কারেনসি অনেক উইক হয়ে গেছে। এই উইকনেসের কারণে ফরেন ইনভেস্টরদের একটা সেল অফ হচ্ছে আমাদের স্টক মার্কেটে। এই সেল অফটা যে শুধু বাংলাদেশেই তা নয়।

ইমার্জিং মার্কেট অন্যান্য যেসব দেশ আছে সব জায়গায় কিন্তু ফরেন ইনভেস্টরা তাদের শেয়ার অফ লোড করছে। এই অফ লোডের কারণে একটি বড় অংশ আমাদের ইনডেক্স কিন্তু ডিক্লাইন করেছে। আমরা যদি আরও স্পেসিফিকেলি বলি, যেসব স্টকে ফরেন ইনভেস্টরদের হোল্ডিং বেশি ছিল এই কারেকশনগুলো কিন্তু বেশি হয়েছে এই শেয়ারগুলোতে। তো তারা এখন ভাবছে হয়তো ডলার আরও স্টংগার হবে বা টাকা আরও ডিক্লাইন করবে। এই জন্য তারা এখন তাদের হোল্ডিংগুলো অফ লোড করে এখন হয়তো তারা চলে যাচ্ছে। এই রকম আজকেই দেখলাম, নেট ফরেন ইনভেস্টমেন্ট ইন দ্যা স্টক মার্কেট নেগেটিভ ছিল টু হান্ডেট এইট্রি টু কোর টাকা। এটা কিন্তু একটা সিগনিফিকেন্ট এমাউন্ট। তার মানে যে আমাদের স্টক মার্কেট একটা খারাপ পর্যায়ে চলে গেছে তা কিন্তু না।

যে সব শেয়ার তারা সেল করেছে, প্রত্যেকটাই কিন্তু ফান্ডামেন্টালি সাউন্ড কোম্পানি। তাদের কিন্তু আর্নিং এবং ডিভিডেন্টে যে চেঞ্জেস হয়েছে সে রকম কিন্তু নয়। দে হ্যাভ স্টং রেভেনিউ এবং দে আর মার্কেট লিডার অ্যান্ড দে হ্যাভ ওন ইন্ডাস্ট্রি ইন বাংলাদেশ। এই কোম্পানিগুলো আমার কাছে মনে হয় যে ইনভেস্টমেন্ট করার নতুন সুযোগ করে দিয়েছে আমাদের জন্য। লোকাল ইনভেস্টরদের জন্য। আমি এই মার্কেট ডিক্লাইনটাকে, আই এম সিং ইট এজ এন অপোরচুনিটি ফর দ্যা লোকাল ইনভেস্টর।

আমার কথা হচ্ছে, যেসব কোম্পানি ফান্ডামেন্টালি সাউন্ড, যেসব কোম্পানি মার্কেট লিডার, যেসব কোম্পানির প্রসপেক্ট ভালো আমাদের দেশে, আমাদের দেশ তো গ্রো করছে এট মোর দেন সেভেন পারসেন্ট অ্যানোয়ালি এবং আমাদের কিন্তু ইকোনোমি ফান্ডামেন্টাল বেশ স্ট্রং এবং রেমিটেন্সেরও ইনটেনসিভ এবার নাম্বারস আমরা দেখতে পেরেছি। সব কিছু মিলিয়ে আমার কাছে মনে হয় এই কোম্পানিগুলো যে এতো এসব ইভালোশনে আমরা দেখতে পাব এতো তাড়াতাড়ি সেটা কিন্তু আমরা ধারণা করতে পারিনি। এখন ফরেন ইনভেস্টরা তাদের গ্লোবাল ম্যাক্রো স্ট্রেটেজিতে হয়তো তারা সাময়িকভাবে একজিট করছে পজিশনগুলো থেকে।

ইউএস ইন্টারেস্ট রেট বেড়ে যাওয়ার কারণে তাদের ডলারের দাম বেড়ে গিয়েছে। তারা এখন পজিশন সেল অফ করছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও। বাংলাদেশ ইজ নট আইসোলেশন। লোকাল যারা ইনভেস্টররা আছে তাদেরকে মনে হয় তারা একটা সুযোগ দিচ্ছে। ফর এ লং টার্ম ইনভেস্টমেন্ট অপোরচুনিটি। লাস্ট আট নয় বছরে আমাদের রেগুলেশনে বা পলিসিতে যেসব চেঞ্জেস আমরা দেখতে পেরেছি, দে আর ভেরি গুড অ্যান্ড পজিটিভ চেঞ্জেস। এসব পলিসিগুলো অনেক ডেভেলপড হয়েছে।

এখানে একাউন্টিবিলিটি, টেন্সপেরিয়েন্সি, করপোরেট গভর্নন্যান্স এসব দিক থেকে কিন্তু আমাদের রেগুলেটর অনেক ভালো ভালো চেঞ্জ এনেছে। এখন ভালো কোম্পানি বলতে আমরা যাদেরকে বুঝি বাংলাদেশের কনটেক্সটে ম্যাক্সিমাম কোম্পানি হচ্ছে ফ্যামিলি ওনড কোম্পানি এবং ফ্যামিলি ওনড কোম্পানি হওয়াতে অনেক কোম্পানি আছে তারা তাদের ওনারশীপ এখানে ডাইভারড করতে চায় না। তারা হয়তো ভাবে যে আমি আমার শেয়ার পাবলিকের হাতে কেন দিব। আমার কাছে আছে। আচ্ছা আমি ব্যাংক লোন নিয়ে, আমি আমার সোর্স অব ফিন্যান্স পাচ্ছি ব্যাংক থেকে। মনোভাব যদি চেঞ্জ হয় তাহলে আমার কাছে মনে হয়, ফ্যামিলি ওনড এবং কন্ট্রোলড যেসব কোম্পানি এগুলোও ভালো কোম্পানি এরাও কিন্তু মার্কেটে আসবে।

লাস্ট দশ বছরে বাংলাদেশে কিন্তু ক্যাপিটাল মার্কেট অনেক ম্যাচিউরড হয়েছে। ইনভেস্টররা রেসপন্সড টু ডু ডিফরেন্ট মার্কেট নিউজ। এটাও কিন্তু এখন খুব প্রোমোট হয়। এখানে একটা গ্লোবাল নিউজের কারণে কিন্তু ইনভেস্টররা রিঅ্যাক্ট করছে। কিন্তু আগে এভাবে শুনতাম না ফরেন এক্সচেঞ্জে একটা ইভেন্টের জন্য একটা শেয়ার প্রাইজ ফল হচ্ছে বা লোকালরা এটা নিয়ে কথা বলছে। এখন কিন্তু এই চেঞ্জগুলো এসেছে। এখন কিন্তু লোকাল ইনভেস্টররা কোম্পানির ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কথা বলে, করপোরেট গভর্নন্যান্স নিয়ে কথা বলে, শেয়ারের ভেলুয়েশন নিয়ে কথা বলে।

লিস্টেড হওয়ার অনেক ইনসেনটিভ আছে। আবার লিস্টেড না হওয়ারও অনেক ইনসেনটিভ আছে। একটা কোম্পানি যদি ভাবে যে তার ক্যাপিটাল স্ট্রাকচার এবং তার কোম্পানির ফাইন্যান্সিয়াল যদি বেনিফিট হয় ক্যাপিটাল মার্কেটে এসে, তখনই তারা ক্যাপিটাল মার্কেটে আসে। যারা আসে না, তাদেরকে তো প্রেসার দিয়ে আনা যাবে না। তারা হয়তো চাচ্ছে না যে পাবলিক ওনারশীপ হোক তাদের কোম্পানিতে।
বাংলাদেশের কিন্তু রুলস-রেগুলেশন যথেষ্ট ফ্রেন্ডলি। ফ্রেন্ডলি হওয়াতে দেখা যায় যে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি কিন্তু অনেক অলরেডি আছে মার্কেটে। তার মানে কিন্তু বাংলাদেশে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোর এপিটাইট আছে।

অবশ্যই বাংলাদেশের মার্কেটে একটা বিশাল প্রগ্রেজ সামনে আসবে। আমি ব্যাক্তিগতভাবে মনে করি, একটা বড় চেঞ্জ আসবে আরও সামনে। সাংহাই এবং সেনচেঞ্জ স্টক এক্সচেঞ্জ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে যে ওনারশীপ নিলো টুয়েন্টি ফাইভ পারসেন্ট। এটার ইফেক্টগুলো আমরা আস্তে আস্তে দেখবো। রাতারাতি হবে না। কিন্তু আমরা এটা সময়ের সাথে সাথে দেখবো। টেকনিক্যাল নো হাউ আসবে। এখানে হয়তো চাইনিজ ইনভেস্টর, চাইনিজ মানি ফ্লো হতে পারে আমাদের মার্কেটে। এখানে ভালো ভালো কোম্পানি আসছে না। আমার কাছে মনে হয় যেহেতু এখন একটা গ্লোবাল ফ্লেবার আমাদের মার্কেটে এসেছে, এখানে হয়তো অনেক কোম্পানি তাদের মাইন্ড চেঞ্জ করতে পারে। এখানে আমার কাছে মনে হচ্ছে যে ইনভেস্টর এডুকেশন বলেন, এক্সচেঞ্জের পলিসি ডেভেলপমেন্ট বলেন, টেকনিক্যাল নো হাউ ট্রান্সফার, টেকনোলজি ট্রান্সফার এগুলো সবই কিন্তু ডেভেলপড হতে বাধ্য। সব চেয়ে বড় জিনিস বাংলাদেশের ইকোনোমি এটা একটা বিশাল প্রসপেক্টিভ ইকোনোমি। ওয়ান অব দ্যা ফাস্টেড ইকোনোমি আমাদের পৃথিবীর মধ্যে। এই দেশকে তো আমার মনে হয় নেক্সট টেন ইয়ারস এটা একটা অনেক সম্ভাবনা দেখছি এখানে।

আমরা ইনস্ট্রুমেন্টাল ফান্ড ম্যানেজ করে থাকি, আমরা এডভাইজরি কাজ করে থাকি, সব দিকেই মোটামুটি আমাদের একটিভিটি আছে। আমরা যেটা করি যে, ইনভেস্টরদেরকে আমরা শর্ট টার্ম থেকে একটু বিরত রাখতে চেষ্টা করি। আমরা একটু লংগার টার্ম ইনভেস্টমেন্ট করাতে চেষ্টা করি। স্পেকুলেটিভ ইনভেস্টমেন্ট যেটা এটাকে একটু ডিসকারেজ করি। এটাকে ডিসকারেজ করলে ফান্ড ম্যানেজারের জন্য ভালো ফ্রিডম থাকে এবং যে ইনভেস্টর তার জন্যও এটা ভালো।

কারণ হলো যে শর্ট টার্মে যে সবার একটা প্রবণতা যে গেইন করার, এটা থেকে সে যদি বেরিয়ে আসতে পারে, তাহলে কিন্তু ইনভেস্টমেন্টে রিটার্ন ইন দ্যা লং রান যদি এভারেজ করা হয়, তবে দেখা যাবে যে প্রতি বছর ফিক্সড ডিপোজিটের থেকেও হয়তো ভালো ইনকাম করা সম্ভব। আমাদের এপ্রোচটা হলো একটু লং টার্ম, একটু রিসার্চ বেসড ভালো কোম্পানিতে ইনভেস্ট করা। এভাবে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি এবং আইপিও’র কাজ এবং আন্ডাররাইটিং এগুলোতেও আমাদের অন গুয়িং আছে।

মুহাম্মদ ফুয়াদ হোসাইন
ম্যানেজিং ডাইরেক্টর এন্ড সিইও
এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনার্স ইনভেস্টমেন্ট লি.