দেশের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি ২৩টি পয়েন্টে বিপদসীমার উপরে

দেশের ৯৩ টি নদ-নদীর পানি সমতল স্টেশনের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী ২৩ টি পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় ৯৩টি পানি সমতল স্টেশনের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী বিভিন্ন নদ-নদীর পানি ৭৯ টি পয়েন্টে বৃদ্ধি ও ১১ টি পয়েণ্টে হ্রাস পেয়েছে।
বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী,বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল,উত্তর-পূর্বাঞ্চল, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের সিকিম,পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চল, আসাম ও মেঘালয় প্রদেশসমূহের বিস্তৃত এলাকায় আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টায় মাঝারী থেকে ভারী এবং কোথাও কোথাও অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এ ছাড়া উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল সংলগ্ন ভারতের বিহার এবং নেপালে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
নদ-নদীর পরিস্থিতি সম্পর্কে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীরণ কেন্দ্রের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ জানানো হয়েছে,পানি পরিস্থিতি ২টি পয়েন্টে অপরিবর্তিত রয়েছে এবং ১টি পয়েন্টের কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে,দেশের সকল প্রধান নদ-নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘন্টায়ননেত্রকোণা,সুনামগঞ্জ,সিলেট,চট্টগ্রাম,কক্সবাজার,বান্দরবান,লালমনিরহাট,কুড়িগ্রাম,জামালপুর ও গাইবান্ধা জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম,সিলেট ও রংপুর বিভাগের সুরমা, কুশিয়ারা, কংস,সোমেশ্বরী, ফেনী, হালদা,মাতামুহুরী, সাঙ্গু,ধরলাসহ প্রধান নদীসমূহের পানি সমতল দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আগামী ৭২ ঘন্টায় সকল প্রধান নদ-নদীরসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে এবং আগামী ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদী সারিয়াকান্দি এবং কাজিপুর পয়েন্ট বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।
গতকাল সকাল ৯টা থেকে আজ সকাল ৯ পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় লালাখাল স্টেশনে ২২৫ মিলিমিটার,কানাইঘাট স্টেশনে ১৫৬ মিলিমিটার,নারায়নহাট স্টেশনে ১৩৫ মিলিমিটার,সিলেটে ১১৫ মিলিমিটার, রামগড়ে ১১৩ মিলিমিটার,জারিয়াঞ্জাইল ১১০ মিলিমিটার, ঢাকায় ১০৮ মিলিমিটার,পাঁচপুকুরিয়া স্টেশনে ১০৩ মিলিমিটার এবং দূর্গাপুের ৯২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।