দেশে বয়স্ক ভাতাভোগীর সংখ্যা ৪০ লাখ: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে বয়স্ক ভাতাভোগীর সংখ্যা ৪০ লাখ। আগামী অর্থবছরে বয়স্ক ভাতার উপকারভোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি করে ৪৪ লাখে উন্নীত করা হবে। বয়স্ক ভাতা সহায়তার আওতা সম্প্রসারণ ও ভাতার পরিমাণ পর্যায়ক্রমে আরো বৃদ্ধি করা হবে।

বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে নেত্রকোণা-৩ আসনের সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিলের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বয়স্ক জনগোষ্ঠী বিশেষ করে বয়স্ক মহিলাদের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তা বিধান, পরিবার ও সমাজে তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি ও চিকিৎসার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার সর্বপ্রথম ১৯৯৭-১৯৯৮ অর্থ বছরে বয়স্ক ভাতা চালু করে। তখন বয়স্কভাতার পরিমাণ ছিল জনপ্রতি মাসিক ১০০ টাকা এবং ভাতাভোগীর সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৩ হাজার। আমরা জনপ্রতি মাসিক ভাতার হার ৫০০ টাকায় বৃদ্ধি করেছি।

তিনি বলেন, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্ত দু:স্থ মহিলাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও সুরক্ষা বিধানের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার প্রথম ১৯৯৮-৮৯ অর্থ বছরে বিধবা, স্বামী পরিত্যক্ত, দু:স্থ মহিলাদের জন্য ভাতা চালু করে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১৪ লাখ বিধবা, স্বামী পরিত্যক্ত, দু:স্থ মহিলাকে জনপ্রতি মাসে ৫০০ টাকা হারে মোট ৮৪০ কোটি টাকা ভাতা দেওয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, এছাড়া আমরা ২০ থেকে ৫০ বছর পর্যন্ত মহিলাদের দু:স্থ উন্নয়ন, ভিজিডির কর্মসূচির আওতায় অন্তর্ভুক্ত করেছি। এ কর্মসূচির মূল কার্যক্রম হলো- মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়াধীন দু:স্থ মহিলা উন্নয়ন, ভিজিডি কর্মসূচি বাংলাদেশের গ্রামীণ দু:স্থ মহিলাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে বাস্তবায়িত একটি অন্যতম সামাজিক নিরাপত্তামূলক কার্যক্রম যা সম্পূর্ণরুপে দু:স্থ পরিবার বিশেষত: মহিলাদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে।

এ কর্মসূচির সেবাসমূহের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভিজিডি উপকারভোগী মহিলাদের মাসিক ৩০ কেজি প্যাকেটজাত খাদ্য (চাল) সহায়তা দেওয়া এবং চুক্তিবদ্ধ এনজিও’র মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

কর্ম এলাকা ও উপকারভোগীর সংখ্যা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলমান ভিজিডি চক্রে দেশের ৪৯২টি উপজেলার ৪ হাজার ৫৬৩টি ইউনিয়নে ১০ লাখ ৪০ হাজার উপকারভোগী মহিলাকে খাদ্য (চাল) দেওয়া হচ্ছে। খাদ্য সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি উপকারভোগীদের মধ্যে প্রশিক্ষণ (আয়বর্ধক ও সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক) দেওয়ার জন্য এনজিও নির্বাচনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

চলতি অর্থ বছরে এ কর্মসূচির মোট বাজেট বরাদ্দ ১ হাজার ৬২০ কোটি টাকা বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

আজকের বাজার/এমএইচ