দেশে ৩ মাসের লবণ মজুদ আছে

পেয়াঁজের মূল্য স্বাভাবিক না হতেই বাংলাদেশে লবণ সংকটের গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট জানিয়েছেন দেশে ৩ মাসের লবণ মজুদ রয়েছে।

মঙ্গলবার হঠাৎ করে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে লবণ সংকটের গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এরপর বাজারে লবণ কেনার হিড়িক পড়ে যায়। কোথাও কোথাও বেড়ে যাচ্ছিল লবণের দাম। দেশের মোট চাহিদার চেয়েও বেশি লবণ উৎপাদন হয় কক্সবাজারে। কিন্তু দেশ ব্যাপী গুজব ছড়ানোর সাথে সাথেই কক্সবাজারের লবণ চাষী, লবণ মিল মালিক ও লবণ ব্যবসায়ীদের সাথে জরুরী বৈঠকে বসেন স্থানীয় জেলা প্রশাসন। বৈঠকে বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ নুরুল কবির জানান, দেশের সর্বত্র ব্যবসায়ীদের কাছে পর্যাপ্ত লবণ সরবরাহ রয়েছে। কাজেই লবণ সংকট একেবারেই বিভ্রান্তিমূলক।খবর ভিওএ

বাংলাদেশের লবণ শিল্প উন্নয়ন প্রজেক্ট সংক্ষেপে বিসিকের উপ-মহাব্যবস্থাপক ছৈয়দ আহমেদ জানান, চলতি অর্থ বছরে প্রায় সাড়ে ১৬ লক্ষ মে. টন লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও উৎপাদন হয়েছে প্রায় ১৮ লক্ষ মে. টন। এই উৎপাদন বিগত ৬ দশকের লবণ উৎপাদনকে ছাড়িয়ে গেছে। এখনও মজুদ রয়েছে সাড়ে ৬ লক্ষ মে. টন লবণ। যা দিয়ে আরও ৩ থেকে ৪ মাস বাংলাদেশের চাহিদা মেটানো সম্ভব। এছাড়া ইতোমধ্যে চাষিদের মাঠে লবণ উৎপাদনও শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।

পেঁয়াজে মূল্য বৃদ্ধির পর নতুন করে একটি চক্র লবণ নিয়ে ষড়যন্ত্রে মেতেছে বলে উল্লেখ করেছেন কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার। কেউ অপপ্রচার ছড়ালে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
ভূ-প্রাকৃতিক কারণে বাংলাদেশে একমাত্র লবণ চাষ হয় কক্সবাজারে আর চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে। বিকল্পহীন খাদ্য উপাদান লবণে স্বনির্ভর বাংলাদেশ। একারণেই লবণের দাম সহনীয় থাকে বাংলাদেশে। কিন্তু সম্প্রতি লবণ চাষের জমিতে কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র সহ বিভিন্ন প্রকল্প শুরু করায় ভবিষ্যতে লবণ উৎপাদন কমে যাওয়ার আশংকা করা করছেন ব্যবসায়ীরা। লবণে স্বনির্ভরতা ধরে রাখতে সরকারকে বিকল্প চিন্তা করার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ নুরুল কবির।

লবণ চাষের জমি ভিন্ন কোন কাজের ব্যবহার করার প্রবণতা বৃদ্ধি পেলে লবণের মূল্য বৃদ্ধির আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আজকের বাজার/লুৎফর রহমান