দ্বিগুণ কার্যকরী ভ্যাকসিন নিয়ে আসছে অক্সফোর্ড

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে সুখবর দিলো অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিনোলজির অধ্যাপক সারা গিলবার্টের দল। তারা করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম এমন ভ্যাকসিন তৈরির দ্বারপ্রান্তে। এ ভ্যাকসিনটি শরীরে দ্বিগুণ কার্যকারিতা দেবে বলে জানিয়েছে বিজ্ঞানীরা।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, প্রাথমিক ট্রায়াল শেষে এমন সাফল্যের কথাই দাবি করেছেন অক্সফোর্ডের গবেষকরা।

তারা জানান, মানবদেহে ভ্যাকসিনের প্রাথমিক ট্রায়ালে দেখা গেছে, ভাইরাসের বিরুদ্ধে দ্বিগুণ সুরক্ষা দিচ্ছে ভ্যাকসিন। যুক্তরাজ্যের স্বেচ্ছাসেবকদের থেকে সংগৃহীত রক্তের নমুনায় দেখা যায়, ভ্যাকসিনটি অ্যান্টিবডি ও টি-সেল উৎপাদন করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়েছে।

সম্প্রতি গবেষকরা জানিয়েছেন, ভ্যাকসিন দেয়ার পরও কয়েক মাসের মধ্যেই অ্যান্টিবডি ক্ষমতা হারাতে পারে। সেক্ষেত্রে শরীরে টি-সেল তৈরি হলে তার স্থায়িত্ব বেশ কয়েক বছর পর্যন্ত থাকবে বলে আশাবাদব্যক্ত করেছে বিজ্ঞানীরা।

একজন সুস্থ মানুষের শরীরের এক মাইক্রোলিটার রক্তবিন্দুতে দুই থেকে চার হাজার ‘টি-সেল’ থাকে। টি-সেলের আরেকটি নাম হলো ‘টি লিম্ফোসাইট’। টি-সেলের কাজ হলো করোনাভাইরাসকে ধ্বংস করা।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিনোলজির অধ্যাপক সারা গিলবার্ট দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি বলেন, আমরা ৮০ ভাগ সাফল্যের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। পরীক্ষার ওপর ভিত্তি করে এটুকু বলতে পারি, করোনার ভ্যাকসিন সফলভাবে তৈরি করতে পেরেছি আমরা।

এর আগে ১ মে অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোনো মুনাফা ছাড়াই ব্যাপকহারে ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে অক্সফোর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকা ২০২০ সালের মধ্যে ৪০০ মিলিয়ন শট বিতরণ করবে। স্বল্প ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ১ বিলিয়ন ডোজ সরবরাহের জন্য ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।

আসছে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২ বিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়েছে যুক্তরাজ্যের বৃহৎ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা।