দ্বিতীয় জাতীয় যুব ও বিতর্ক উৎসব ২০১৯ অনুষ্ঠিত

তারুণ্যের দীপ্ত শপথে আগামীর সুখী, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে শেষ হলো তিন দিনব্যাপী দ্বিতীয় জাতীয় যুব ও বিতর্ক উৎসব ২০১৯।

গত ৩ থেকে ৫ মে রাজধানীর আজিমপুর গভ: গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ মিলনায়তনে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। উৎসবের প্রথম দিন ৩ মে শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয় শিশু-কিশোরদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, রচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ভাস্কর শিল্পী মৃণাল হক। আর সভাপতিত্ব করেন জাতীয় যুব ও বিতর্ক উৎসব এর মডারেটর সোহাগ মহাজন। বি‌শেষ অতিথি হি‌সে‌বে উপ‌স্থিত ছি‌লেন বাংলা‌দেশ সাই‌কেল লেন বাস্তবায়ন প‌রিষ‌দের সভাপ‌তি আমিনুল ইসলাম টুববুস।

উৎসবের দ্বিতীয় দিন ৪ মে শনিবার বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে প্রায় পাঁচ শতাধিক প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন় বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও কর্মশালায়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ৭ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম, এম পি। সভাপতিত্ব করেন জাতীয় যুব বিতর্ক উৎসবের মাননীয় মডারেটর জনাব সোহাগ মহজন।

উৎসবের তৃতীয় দিন ৫ই মে রোববার সকাল ১০ টা হতে সন্ধ্যা ৬ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল প্রতিযোগিতা। এ দিন বিতর্ক প্রতিযোগিতার পাশাপাশি সমান তালে চলে কর্মশালা, উপস্থিত বক্তৃতা এবং মেডিকেল ক্যাম্প।

প্রতিযোগিতা শেষে যুব সম্মাননা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম,এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সম্মানিত কাউন্সিলর আলহাজ্ব হুমায়ুন কবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান শাহেদ আহ্ম্মেদ এবং (আই.সি.এম.এ. বি)এর সাবেক চেয়ারম্যান, রুহুল আমিন, রিভারাইন পিপল এর মহাসচিব ও নদী গবেষক মোঃ এজাজ এবং নোজ্ঞর এর চেয়ারম্যান সুমন শামস প্রমূখ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি কামরুল ইসলাম বলেন, আগামী প্রজন্মের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে দ্বিতীয় জাতীয় বিতর্ক উৎসব ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখবে এবং যেসব বিষয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে তার ভুয়সী প্রশংসা করেন।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী বেলাল খান ও চিত্রনায়ক যুবরাজ খান তার অনবদ্য পারফরম্যান্স প্রদান করেন।

প্রতিযোগিতা শেষে চিত্রাংকন, রচনা,উপস্থিত বক্তৃতা, কুইজ ও বিতর্ক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয় শিশু-কিশোরদের সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে পারদর্শী করে তাদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের মানসে আগামীতে আরও বড় পরিসরে এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হবে বলে এবং আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।

উৎসবে সারা দেশ থেকে আগত প্রায় সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

আজকের বাজার/এমএইচ