দ্বিতীয় ম্যাচ থেকেই ঘুড়ে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন তামিম

ডান-হাতি পেসার লাসিথ মালিঙ্গার বিদায়ী ম্যাচে শ্রীলংকার কাছে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৯১ রানে হারে সফরকারী বাংলাদেশ। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছে টাইগাররা। সিরিজে টিকে থাকতে হলে আগামীকাল দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জয় ছাড়া বিকল্প কোন পথ খোলা নেই বাংলাদেশের। তাই সমতা আনার লক্ষ্য নিয়ে আগামীকাল সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামছে তামিমের দল। অপরদিকে, শ্রীলংকার লক্ষ্য জয়ের ধারা অব্যাহত রেখে দ্বিতীয় ওয়ানডেতেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করা। কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায়।

বিশ্বকাপের ব্যর্থতা ভুলতে শ্রীলংকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু করে বাংলাদেশ। লক্ষ্য সিরিজে ভালো ফল অর্জন করা। কিন্তু সিরিজের প্রথম ম্যাচেই হোচট খেল টাইগাররা। ব্যাটি-বোলিং-ফিল্ডিং তিন বিভাগেই বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের ব্যর্থতা ছিলো চোখে পড়ার মত।

বাংলাদেশের ছন্নছাড়া বোলিংয়ের কারণে টস জয়ী শ্রীলংকা প্রথমে ব্যাট করে ৩১৪ রানের বড় টার্গেট দাঁড় করায়। ব্যাট হাতে ঝড়ো সেঞ্চুরি করেন কুশল পেরেরা। ৮২ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরির স্বাদ নেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১১১ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন পেরেরা। তার ৯৯ বলের ইনিংসে ১৭টি চার ও ১টি ছক্কা ছিলো। এছাড়া ব্যাট হাতে সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করেছেন সাবেক অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ ও কুশল মেন্ডিস। ম্যাথুজ ৪৮ ও মেন্ডিস ৪৩ রান করেন। বাংলাদেশের বোলিং-এ সেরা পারফরমার ছিলেন ডান-হাতি পেসার শফিউল ইসলাম। প্রায় সাড়ে তিন বছর পর ওয়ানডেতে খেলতে নেমে নিজের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট শিকার করেন তিনি। পরবর্তীতে ইনিংসের শেষদিকে আরও ২ উইকেট নিয়েছেন শফিউল। ফলে ম্যাচে তার বোলিং ফিগার ছিলো ৯ ওভারে ৬২ রানে ৩ উইকেট।

বোলারদের ছন্নছাড়া বোলিং ও বাজে ফিল্ডিং-এর পর বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা হতাশ করে। সেই হতাশা শুরু হয়েছিলো ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক তামিম ইকবালকে দিয়ে। ইনিংসের পঞ্চম বলেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তামিম। লাসিথ মালিঙ্গার প্রথম চার বল ভালোভাবে সামলাতে পারলেও, পঞ্চম বলে বোল্ড হন তামিম।

তামিমের পর সৌম্য সরকার-মোহাম্মদ মিঠুন-মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও দ্রুত ফিরেন। ফলে ৩৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে ঘুড়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন মুশফিকুর রহিম-সাব্বির রহমান। কিন্তু বড় জুটি না হওয়াতে তাদের লড়াই শেষ পর্যন্ত বৃথাই যায়। তবে দু’জনই হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়েছেন। মুশফিক ৬৭ ও সাব্বির ৬০ রান করেন। তাদের আউটের পর বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ২২৩ রানে। বিদায়ী ম্যাচেও দলের সেরা বোলার ছিলেন মালিঙ্গা। ৩৮ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। তবে ম্যাচ সেরা হয়েছেন পেরেরা।

প্রথম ম্যাচ হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচ থেকেই ঘুড়ে দাঁড়ানো প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম, ‘আমাদের নিজেদের দলবদ্ধ হতে হবে। এখনও দু’টি ম্যাচ বাকী রয়েছে। আশা করি, আমরা ভালো করতে পারবো। আমাদের ১৫ জনের দল। আমি তাদের নিয়ে অনেক খুশী। তাদের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে। তাদের সামর্থ্য আছে, সবার দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে। আমরা এখনো লড়াইয়ে আছি। পরের ম্যাচ থেকেই ঘুড়ে দাঁড়াতে চাই।’

আজকের বাজার/লুৎফর রহমান