ধাপে ধাপে খোলা হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : প্রধানমন্ত্রী

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় ধাপে ধাপে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি আজ রবিবার সকালে গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশের সময় এ কথা বলেন।

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফল প্রকাশ করেছি।

এসময় তিনি সবাইকে আত্মবিশ্বাস নিয়ে করোনা মহামারী মোকাবেলা করার আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, এবার সম্মিলিত পাসের হার ৮২ দশমিক ৮৭। প্রকাশিত ফলাফলে যশোরে পাশের হার ৮৭.৩১%, ময়মনসিংহে ৮০.১৩%, বরিশালে ৭৯.৭০%, কুমিল্লা ৮৫.২২%, চট্টগ্রামে ৮৪.৭৫%, রাজশাহীতে ৯০.৩৭%, দিনাজপুরে ৮২.৭৩%।

রোববার (৩১ মে) সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

তিনি জানান, আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে গড়ে ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে।

সবগুলো বোর্ডে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন মোট ২০ লাখ ৪০ হাজার ২৮ জন শিক্ষার্থী। যার মধ্যে ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫২৩ জন শিক্ষার্থী পাস করেছে।

এর আগে ভিডিও কনফারেন্সে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার (৩১ মে) সকাল ১০টায় গণভবন থেকে এ ফল ঘোষণা করেন তিনি।

পরে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ফেসবুক লাইভে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন। শিক্ষামন্ত্রী জানান, এসএমএস, প্রি-রেজিস্ট্রেশন এবং সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে ফল জানতে পারবে শিক্ষার্থীরা।

এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয় গত ৩ ফেব্রুয়ারি। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় ২৭ ফেব্রুয়ারি। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে শেষ হয় ৫ মার্চ। নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষা শেষ হওয়ার দুই মাসের মধ্যে ফল ঘোষণা করার কথা। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে ফল প্রকাশে কিছুটা বিলম্ব হলো।

উল্লেখ্য, এবারের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন পরীক্ষার্থীর। এরমধ্যে ছাত্র ১০ লাখ ২৪ হাজার ৩৬৩ জন এবং ছাত্রী ১০ লাখ ২৩ হাজার ৪১৬ জন। ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে শুধু এসএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪ লাখ ২২ হাজার ১৬৮ জন। এরমধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৪ লাখ ১৬ হাজার ৭২১ জন।