নাইকো মামলায় বাংলাদেশের জয়

ছাতকের টেংরাটিলায় গ্যাসকূপে বিস্ফোরণের দায়ে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বহুজাতিক তেল-গ্যাস কোম্পানি নাইকোকে। এমনই আদেশ দিয়েছে বিশ্বব্যাংকের বিনিয়োগ নিষ্পত্তি সালিশী আদালত-ICSID। রবিবার (৩ মে) সংবাদ সম্মেলনে এমনটা জানান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

দেড় যুগ আগে সিলেটের ছাতক গ্যাসক্ষেত্রের টেংরাটিলায় দুইবার বিস্ফোরণ ঘটে। তখন থেকেই বলতে গেলে পুরো গ্যাসক্ষেত্রটিই পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। বাংলাদেশের আদালতে অভিযুক্ত হলে, বিস্ফোরণের দায় থেকে বাঁচতে, ২০১০ সালে বিশ্বব্যাংক পরিচালিত বিনিয়োগ নিষ্পত্তি সালিশী আদালত-ইকসিডে মামলা করে নাইকো। এখানেই ২০১৬ সালে ৮ হাজার ৫শ’ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে আবেদন করে রাষ্ট্রীয় তেল-গ্যাস ও খনিজ সম্পদ কর্পোরেশন পেট্রাবাংলা।

গত ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে এই মামলায় রায় দেয় ইকসিড। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানাচ্ছেন, টেংরাটিলায় বিস্ফোরণের দায় নিয়ে, বাংলাদেশকে ক্ষতিপূরণ দিতে নাইকোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

টেংরাটিলায় প্রথম দফার বিস্ফোরণ নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টার পরপরই দ্বিতীয়বারও একই ঘটনা ঘটে। ইকসিড বলছে, আন্তর্জাতিক মান ও দক্ষতার নিয়মকানুন মেনে কাজ করেনি নাইকো। বিস্ফোরণের ফলে ঠিক কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সেটি পরিমাণের নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক সালিশী আদালত।

পেট্রোবাংলার আইনজীবী বলছেন, ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নিয়ে চূড়ান্ত আদেশ পেতে সময় লাগতে পারে সর্বোচ্চ দেড় বছর।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়, ২০০৩ সালে কোনো ধরনের টেন্ডার প্রক্রিয়া ছাড়াই নাইকোর সাথে বাপেক্সকে যুক্ত করে ছাতক গ্যাসক্ষেত্রের উন্নয়ন কাজ দেয়া হয়।