নাক ডাকার সমস্যাকে অবহেলা নয়

নাক ডাকার সমস্যা সত্যিই খুব অস্বস্তিকর! তবে যাঁর নাক ডাকার শব্দে অন্যের ঘুমের বারোটা বেজে যায়, তাঁরও কিন্তু বিপদ কম নয়!

একাধিক গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে, মাঝবয়সীদের মধ্যে ৪০ শতাংশ পুরুষ এবং ২০ শতাংশ মহিলা ঘুমের মধ্যে নাক ডাকেন। সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, গড়ে প্রতি দু’জন ব্যক্তির মধ্যে একজন নাক ডাকেন। শরীরের মাত্রাতিরিক্ত ওজন, শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা ও আরও বেশ কিছু কারণে এই নাক ডাকার সমস্যা হতে পারে। চিকিত্সকদের মতে, ঘুমের মধ্যে শ্বাস-প্রশ্বাসের গতিপথ কোনও ভাবে বাধাপ্রাপ্ত হলে শ্বাসনালীতে প্রবেশ করা বাতাস শ্বাসযন্ত্রে কাঁপুনির সৃষ্টি করে। যার ফলে এক অদ্ভুত শব্দের সৃষ্টি হয়। একেই আমরা নাক ডাকা বলে থাকি।

বছর খানেক আগে জার্মানির মিউনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক জানান, দীর্ঘ দিনের নাক ডাকার সমস্যায় হৃদপিণ্ডের ডান এবং বাঁ দিকের ভেন্ট্রিকুলারের মারাত্মক ক্ষতি হয়। বেড়ে যায় স্লিপ অ্যাপনিয়ার (Sleep Apnea) ঝুঁকি। ফলে ঘুমের মধ্যেই ঘটে যেতে পারে হার্ট অ্যাটাক। আসুন জেনে নেওয়া যাক নাক ডাকার সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনবেন কী করে?

নাক ডাকার সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনার উপায়:

১) মাখন গরম করে গলিয়ে নিয়ে নাকের দুই ছিদ্রে ১ ফোঁটা করে দিয়ে দিন। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে আর রাতে শুতে যাওয়ার সময় করুন এমন নিয়মিত করলে উপকার পাবেন।

২) রোজ রাতে শুতে যাওয়ার সময় ১ গ্লাস উষ্ণ জলে আধা চামচ এলাচের গুঁড়ো মিশিয়ে খেয়ে নিন। উপকার পাবেন।

৩) রাত ৮ টার পর ভারি খাবার একেবারে পেট ভরে খাবেন না। সন্ধের পর পাচনযন্ত্রের গতি মন্থর হয়ে যায়। এই সময় অতিরিক্ত খাবার খেলে পাচনযন্ত্রকে অতিরিক্ত শক্তি লাগাতে হয় তখন সেটিকে হজম করাতে। ফলে ঠিক করে শ্বাস নিতে সমস্যা হয়।

৪) খাওয়ার ঠিক পরেই শোবেন না। একটু সময় নিয়ে, সম্ভব হলে একটু হাঁটাচলা করে তবেই ঘুমোতে যান। এতে হজমের সমস্যা জনিত কারণে শ্বাসকষ্টের ঝুঁকি কমায়।

৫) চিত হয়ে শোয়ার পরিবর্তে একপাশে ফিরে শোয়ার অভ্যাস করুন। নাক ডাকা অনেকটাই কমে যাবে।

তবে নাক ডাকার আওয়াজ অস্বাভাবিক হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।