নাটোরে সোনালী আঁশের দিন ফিরে আসতে শুরু করেছে

নাটোর জেলায় সোনালী আঁশের দিন ফিরে আসতে শুরু করেছে। বিগত বছরগুলোতে স্বাভাবিক বৃষ্টির কারণে পাট প্রক্রিয়াজাতকরণের সুবিধা এবং পাটের বাজার দরের উদ্ধমুখীর কারণে কৃষকরা পাট চাষে ক্রমশ: আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। নাটোরে বেড়েছে পাটের আবাদি জমি এবং উৎপাদনের পরিমাণ। জমিতে সবুজে ভরপুর পাট রাজ্যে চলছে পাট কাটা। অন্যদিকে জলাশয় ও এর পাড় সংলগ্ন স্থানগুলোতে পাট গাছ ভেজানো, পাটের আঁশ ছড়ানো, পাট শুকানো, পাটকাঠি সংগ্রহ-সব কর্মযজ্ঞই চলছে যুগপৎ ভাবে। সবুজ পাট গাছের রূপান্তর ঘটছে সাদা পাট আর পাটকাঠিতে। রূপালী রৌদ্রকে মেঘে ঢেকে দিয়ে প্রকৃতিতে নামছে শ্রাবণ ধারা। প্রকৃতির সাথে সহাবস্থান করে গ্রামীণ জনপদে কৃষক এবং কৃষিশ্রমিকবৃন্দ কর্মে মুখরিত হয়েছেন পাট রাজ্যে। ইতোমধ্যে ৭০ শতাংশ পাট কাটা হয়ে গেছে।

নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর জেলায় ২৩ হাজার ৩৪৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। এরমধ্যে সর্বাধিক পাট আবাদ হয়েছে বড়াইগ্রাম উপজেলায়-সাত হাজার ৯১০ হেক্টর, লালপুরে পাঁচ হাজার ৯১০ হেক্টর, গুরুদাসপুরে তিন হাজার হেক্টর, বাগাতিপাড়ায় এক হাজার ৮৬০ হেক্টর, সিংড়ায় এক হাজার ৭৮০ হেক্টর, নাটোর সদর উপজেলায় এক হাজার ৭২০ হেক্টর এবং নলডাঙ্গা উপজেলায় এক হাজার ১৬৫ হেক্টর। এরমধ্যে প্রায় সবটাই তোষা জাতের পাট। বিগত ২০১৮ সালে জেলায় ১৭ হাজার ২৪০ হেক্টর আবাদি জমি থেকে ৪১ হাজার ৪৭৩ টন পাট উৎপাদন হয়েছিল। চলতি বছরে উৎপাদন প্রায় ৬০ হাজার টনের কাছাকাছি পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিগত বছরগুলোতে আবাদি জমির পাশাপাশি হেক্টর প্রতি পাটের গড় উৎপাদনও বেড়েছে।

আজকের বাজার/লুৎফর রহমান