নিরাপদে ঘুরে আসুন দার্জিলিং

রাজনৈতিক অস্থিরতা, ভাইরাস—কোনো কিছুতেই পাল্টে না প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ।  তেমনি এক অপার সৌন্দর্যের নাম দার্জিলিং। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে করোনা আতঙ্ক ছড়ালেও দার্জিলিং এখনও শান্ত। বরং সেখানে গেলেই দেখা মিলবে আদি এবং অকৃত্রিম পাহাড়ের গা বেয়ে নেমে আসা সাদা-কালো মেঘ। তার ফাঁক দিয়ে উঁকি দেয়া সবুজ চা বাগান, এলোমেলো রাস্তার বাঁক কিংবা টয় ট্রেন। জঙ্গলের কান ঘেঁষে বয়ে চলা সুশীতল বাতাস আগের মতোই তরতাজা। এর গন্ধেই রয়েছে একাত্মতা।
প্রথম দিন:

রাত সাড়ে তিনটায় ঘুম থেকে উঠে পড়ুন। ফ্রেশ হয়ে চলেন যান টাইগার হিল। সূর্যোদয়ের মৃদু চাকচিক্য দেখতে পাবেন হিমালয়ের বরফ ছুঁয়ে। তারপর সারাদিনে বাতাসিয়া লুপ, রক গার্ডেন ঘুম স্টেশন, চিড়িয়াখানা, টি গার্ডেন ও মল রোড ঘুরুন।

দ্বিতীয় দিন:

প্যারাগ্লাইডিং করতে চাইলে চলে যান কালিম্পং। দার্জিলিং শহর থেকে খানিকটা দূরে আরেকটা শহর। সেখান থেকে হিমালয়ের একটা পাশ দেখা যায়।


দার্জিলিংয়ে পাহাড়ের ভাঁজ

তৃতীয় দিন:

আপনি চাইলে পাহাড় আর লেকে ঘেরা ছোট্ট শহর মিরিক ঘুরে আসতে পারেন। আবার চাইলে দার্জিলিং থেকেও মিরিক ঘুরে আসতে পারেন। যেহেতু মিরিক থেকে শিলিগুড়ি কাছাকাছি, তাই আপনার মিরিকে থাকাটাই ভালো। মিরিকে ঘোরার জন্য লেক আর মোটেলের টপভিউ টাই অসাধারণ। সুতরাং একদিনের বেশি অবস্থান করার প্রশ্নই ওঠে না।

চতুর্থ দিন:

সকালে শিলিগুড়ির উদ্দেশে রওনা দিন। মিরিক থেকে শিলিগুড়ি আসতে মাত্র দুই ঘণ্টা লাগে আর শিলিগুড়ি থেকে সীমান্তে আসতে তিন ঘণ্টা লেগে যাবে। মনে রাখবেন, সন্ধ্যা ৬টার পর সীমান্তের সব কার্যক্রম বন্ধ থাকে।

আজকের বাজার/শারমিন আক্তার