নির্বাচনে সহিংসতার ব্যাপারে লক্ষ্য রাখতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিইসির নির্দেশ

উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে কোন সহিংসতার ঘটনা যাতে না ঘটে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে রিটার্নিং ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) খান মো. নুরুল হুদা।
তিনি বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনের আগে, পরে এবং নির্বাচনের দিন যাতে কোন সহিংসতার ঘটনা না ঘটে এ বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে।’
আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিটিউট (ইটিআই) ভবনে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে রিটার্নিং ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিইসি প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন।
প্রয়োজনে নির্বাচন বন্ধ করে দেয়া হবে, কিন্তু অনিয়মের সাথে আপোস করা যাবে না উল্লেখ করে নূরুল হুদা বলেন, ‘যদি কোনো রিটার্নিং অফিসার মনে করেন যে তার পক্ষে উপজেলায় নির্বাচন করার পরিবেশ নেই, তাহলে তিনি সেটা বন্ধ করে দেয়ার সুপারিশ করবেন। কমিশন সেটা বন্ধ করে দিতে পারবে। কিন্তু নির্বাচনে কোন রকম অনিয়মের সাথে আপস করা যাবে না।’
তিনি বলেন, মানুষ ভোট দেবে। ভোটারের পছন্দের প্রার্থী বিজয়ী হবে। প্রার্থী কোন দলের, কোন ধর্মের, কোন বর্ণের সেটা দেখার দায়িত্ব আমাদের নয়। ভোটার যাকে যোগ্য মনে করবেন তিনিই হবেন তাদের নির্বাচিত প্রার্থী।
সিইসি বলেন, এজেন্টদেরকে নিয়ে সব সময় বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। নির্বাচনে প্রার্থীরা যাতে ভোটকেন্দ্রে এজেন্ট দেন সেজন্য তাদেরকে উৎসাহিত করতে হবে। এজেন্টরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রার্থীদেরকে উৎসাহিত করবেন যাতে তারা এজেন্ট দেয়। এজেন্টরা যাতে সেখানে নিরাপদে নির্ভয়ে থাকতে পারে এটাও দেখবেন।
পোলিং এজেন্টদের বিষয়ে এমন অনেক অভিযোগ আসে যার অনেকগুলোই সঠিক নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অনেকে অভিযোগ করেন যে তাদের এজেন্টকে কেন্দ্রে যেতে দেয়া হয়নি। আপনারা যদি না পাঠান তাহলে কেন্দ্রে এজেন্ট কিভাবে যাবে? পোলিং এজেন্টদের বিষয়ে অভিযোগের অনেকগুলোই সঠিক না।’
কোন কোন জায়গায় ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো হয় বা হতে পারে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরকে বলতে হবে যাতে এ বিষয়গুলো তারা ভালোভাবে নজরদারিতে রাখেন।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।