নির্বাচন পেছানোর দাবিতে বুধবার ইসিতে যাবে ঐক্যফ্রন্ট

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একমাস পেছানোর দাবিতে বুধবার নির্বাচন কমিশনে যাবে ড. কামাল হোসেন নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

মঙ্গলবার মতিঝিল ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তথ্য জানিয়েছেন।

ফখরুল বলেন, আমরা আগামীকাল দুপুর ১২টায় আমাদের এই দাবি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে যাব। ড. কামাল হোসেন সাহেবসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ সেখানে থাকবেন।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনার জন্য যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন, তা করতে ব্যর্থ হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে তফসিল ঘোষণা করা উচিত ছিল, কিন্তু তারা তা করেনি।

রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা না করেই ৩০ ডিসেম্বের নির্বাচন দেয়ায় হতাশ হয়েছেন জানিয়ে ঐক্যফ্রন্ট মুখপাত্র বলেন, নির্বাচনের তফসিল যে সময় ঘোষণা করা হয়েছে সে সময়টিতে বড়দিনের ছুটি থাকে। ওই সময়টি আমাদের খ্রিস্টান সম্প্রদায় একটা উৎসবের আমাজে থাকেন। এছাড়া নববর্ষ আসছে, সেটা একটা বড় অনুষ্ঠান।

তিনি আরও বলেন, পাশাপাশি আমরা যে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আশা করছি, একটা সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন দেখার জন্য তাদের সেই সুযোগও থাকছে না, যদি ওই সময়ে ভোট হয়।

এই পরিস্থিতি নির্বাচন কমিশনারদের সাথে কথা বলতে কমিশনে যাচ্ছেন উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র নেতা বলেন, তারা সেখানে তাদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া ও পর্যবেক্ষণ তুলে ধরবেন।

ফখরুল জানান, ঐক্যফ্রন্ট প্রধান ড.কামাল হোসেন আগামী শুক্রবার প্রিন্ট মিডিয়ার সম্পাদকরে সাথে মত বিনিময় করবেন এবং পরে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রধানদের সাথেও মত বিনিময় করবেন।

এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তারা এখনো তাদের জোটের সাথে আসন ভাগাভাগির বিষয়টি সম্পন্ন করতে পারেননি।

এদিকে সকালে রাজধানীর নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে রিটার্নিং অফিসারদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী সেশনে নির্বাচনের তারিখ আর পেছানোর উপায় নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি ) কেএম নুরুল হুদা।

সিইসি বলেন, পরবর্তীতে তার পেছানোর (জাতীয় নির্বাচনের তারিখ) উপায় নেই। আগামী ৩০ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি, তাই পরবর্তীতে আর পেছানোর উপায় নেই।

অনেক কিছু ভেবেচিন্তে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে জানিয়ে সিইসি বলেন, আগামী ২৯ জানুয়ারির মধ্যে অবশ্যই নতুন সংসদ গঠন করতে হবে।

তবে বিভিন্ন মহলের দাবির প্রেক্ষিতে পূর্ব ঘোষিত নির্বাচনের তফসিল এক সপ্তাহ পিছিয়ে ২৩ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ৩০ ডিসিম্বের ভোটের দিন নির্ধারণ করেছে ইসি।

পরে নয়াপল্টনে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মাহসিচব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেন, বিদেশি পর্যবেক্ষকরা যাতে না থাকতে পারে সেজন্য নির্বাচন কমিশন ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিন নির্ধারণ করেছে

তিনি আরও বলেন, আগামী ২৫ ডিসেম্বর বড় দিন, থার্টি ফার্স্ট ও ইংরেজি নববর্ষের কারণে বিদেশি পর্যবেক্ষক, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাই কমিশনার ও কর্মকর্তারা ছুটিতে থাকবেন। আর এ সুযোগটি কাজে লাগিয়ে তাদের দৃষ্টির অন্তরালেই একটি বড় ভোট চুরির নির্বাচন করতে সরকারের কৌশলী নির্দেশেই ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে ইসি।

আজকের বাজার/এমএইচ