নিহত ‘জঙ্গির’ ৩২ নম্বরে হামলার পরিকল্পনা ছিল

রাজধানীর পান্থপথের হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনালে আত্মঘাতী হওয়া সন্দেহভাজন জঙ্গি জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনসহ ধানমন্ডি ৩২ নম্বরকেন্দ্রিক হামলার পরিকল্পনা ছিল বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক।

মঙ্গলবার ১৫ আগস্ট সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।

আইজিপি জানান, নিহত জঙ্গির নাম সাইফুল ইসলাম। তার বাড়ি খুলনার ডুমুরিয়ায়। তার বাবা একটি মসজিদের ইমাম। সে খুলনা বিএল কলেজে পড়তো এবং জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি করতো।

আইজিপির বলেন, ১৫ আগস্টে ৩২ নম্বরে আসা মিছিলে আত্মঘাতি হামলার পরিকল্পনা ছিল ওই জঙ্গির। আমাদের গোয়েন্দা পুলিশের তৎপরতায় তার অবস্থান নিশ্চিত হওয়া যায়। গত সোমবার (১৪ আগস্ট) থেকেই আমরা এ ধরনের গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছিলাম। এ জন্য সারারাত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালানো হয় ও অনেক সন্দেহজনক ব্যক্তিদের ফলো করা হয়। ওলিও হোটেলের একটি কক্ষে সে ছিল। তার কাছে শক্তিশালী বিস্ফোরক ছিল। পরে রাতেই গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী পুলিশ এ হোটেলে অভিযান চালায়। ভেতরে সে সুইসাইডাল ভেস্ট পরে আত্মঘাতি বিস্ফোরণ করেছে। এতে ভবনের দেয়াল ও বারান্দার অংশ ধসে পরেছে।

তিনি আরো ব‌লেন, অভিযান শুরুর সময় হোটেলের সব কক্ষ তল্লাশি করা হলেও, এই কক্ষ (জঙ্গির কক্ষ) ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। কেউ সাড়াও দেয়নি। এতে ভেতরে জঙ্গি রয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়। পরে চারদিক থেকে হোটেলটি ঘিরে ফেলা হয়। মঙ্গলবার সকাল থেকে ওই জঙ্গিকে আত্মসমর্পণের জন্য বলা হলে সে পৌনে ১০টার দিকে বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় সে। এতে হোটেলের দরজা, রেলিং ও কাঁচ ভেঙে পড়ে। এ সময় ওই জঙ্গিকে সুইসাইডাল ভেস্ট ও ব্যাগপ্যাকসহ দেখা যায়। তার লক্ষ্যই ছিল ৩২ নম্বরের মিছিলে আত্মঘাতি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে শতশত লোককের হতাহত করার। তাই তাকে গুলিও করা হয়।

এ কে এম শহীদুল হক বলেন, প্রাথমিকভাবে অভিযান শেষ হয়েছে। নিহত ‘জঙ্গি’ নিজেই আত্মঘাতী হয়ে বিস্ফোরণ ঘটান। তিনি নব্য জেএমবির সদস্য কি না, এ ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিখোঁজের তালিকায় তিনি ছিলেন কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আজকের বাজার: আরআর/ ১৫ আগস্ট ২০১৭