নীলফামারীতে বোরোর আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে

নীলফামারী জেলায় বোরো আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলনের আশাও করছেন কৃষকরা।

জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রমতে, এবারে জেলার ছয় উপজেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮৪ হাজার ২৭৯ হেক্টর। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৩৫৮ মেট্রিকটন চাল। এর বিপরীতে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে বোরো আবাদ হয়েছে ৮৪ হাজার ৩৬০ হেক্টর জমিতে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফললেন আশা করা যাচ্ছে।
অর্জিত আবাদের মধ্যে রয়েছে ডোমার উপজেলায় ১৩ হাজার ৭৩০ হেক্টর, সদর উপজেলায় ২৩হাজার ৯৯৫ হেক্টর, সৈয়দপুরে ৭ হাজার ৭২০ হেক্টর, ডিমলায় ১২ হাজার ৯০০ হেক্টর, জলঢাকায় ১৪ হাজার ৮৪০ হেক্টর, কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ১১ হাজার ২০৫ হেক্টর। মোট আবাদের মধ্যে হাইব্রিড জাত ৪০ হাজার ৯২০ হেক্টর এবং উপশি জাত রযেছে ৪৩ হাজার ৪৪০ হেক্টর।

জেলা সদরের টুপামারী ইউনিয়নের দোগাছি গ্রামের কৃষক সাদ্দাম হোসেন (৩৫) বলেন,‘এবারে নিয়মিত বিদুৎ পাওয়ায় বোরো আবাদে সেচের কোন সমস্যা নেই। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ পর্যন্ত তেমন কোন রোগ বালাই নেই। এ অবস্থা বিরাজ করলে ভালো ফলনের আশা করা যাচ্ছে।’

জেলার ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের মিরজাগঞ্জ গ্রামের কৃষক লিয়াকত আলী (৫০) বলেন,‘শুরু থেকে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবারে চার বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করেছি। নিয়মিত বিদুৎ পাওয়ায় সেচের সমস্যা হচ্ছে না। সার, কীটনাশকের ঘাটতি নেই, ভালো ফলনের আশা করছি।’

তিস্তা সেচ প্রকল্পের সেচের পানির আওতায় রয়েছে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের সুটিপাড়া গ্রাম। ওই গ্রামের কৃষক ওমর ফারুক (৪৫) বলেন,‘গতবার সেচ ক্যানেলে পানির সংকট থাকলেও সে সংকট এবারে নেই। নিয়মিত সেচের পানি পাওয়ায় এবারে বোরো আবাদে কোন ঘাটতি পড়েনি। প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হলে ভালো ফলনের আশা করছি আমরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক আবুল কাশেম আযাদ এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন,‘বোরো আবাদের আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। সেচ সারের কোন সংকট নেই, জেলায় এবারে বাম্পার ফলনের আশা করা যাচ্ছে।’

এমআর/