নীলফামারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় এক পরিবারে ৩ জন নিহত

জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলায় মোটরসাইকেল-নৈশ কোচের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক পরিবারের তিন মোটরসাইকেল যাত্রী নিহত হয়েছেন। রোববার রাত ৮টার দিকে উপজেলা শহরের অদূুরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয়ের সামনের সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলেন মোটরসাইকেল চালক লিটন মিয়ার (৩০) স্ত্রী রুমা বেগম (২৪) তাদের চার বছরের শিশু সন্তান রাহিম ও লিটনের শ্যালিকা আদুরী বেগম (১৭)। আহত লিটন মিয়াকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমল্পেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, লিটন মিয়া রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার দক্ষিণ গজঘন্টা গ্রামের বাড়ি থেকে গতকাল রোববার সকালে স্ত্রী রুমা ও শিশু সন্তান রাহিমকে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার রনচন্ডি ইউনিয়নের মাঝাপাড়া গ্রামে শ্বশুর আহাদ আলীর বাড়িতে ঈদের দাওয়াতে আসেন। দুপুরে শ্বশুর বাড়ির দাওয়াত শেষে রাতে একই উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামে মামা শ্বশুর সাজ্জাদুল মিয়ার বাড়িতে দাওয়াতে অংশগ্রহণের জন্য মোটরসাইকেলে স্ত্রী, সন্তান ও শ্যালিকাকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয়ের সামনে কুমিল্লাগামী নৈশ কোচ উল্লাস পরিবহনের (চট্টগ্রাম ক-১১-০২৬১) সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এসময় মোটরসাইকেল চালক লিটন মিয়া বেঁচে গেলেও নিহত হন তার স্ত্রী রুমা বেগম, তাদের চার বছরের শিশু সন্তান রাহিম ও শ্যালিকা আদুরী। পুলিশ নৈশ কোচটি আটক করলেও চালক হেলপার পালিয়ে গেছে। আহত লিটন মিয়াকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সে গঙ্গাচড়ার দক্ষিণ গজঘন্টা গ্রামের মোখলেছার রহমানের ছেলে।
কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন-অর রশিদ ওই সড়ক দুূর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিৎ করে বলেন, ‘লিটন মিয়া প্রাণে বেঁচে গেলেও তার স্ত্রী, সন্তান ও শ্যালিকা ঘটনাস্থালে নিহত হন। মরদেহ উদ্ধার ও নৈশ কোচটিকে আটক করা হয়েছে। তবে চালক হেলপার পালিয়ে গেছে। এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।