নড়াইলে পোকা দমনে জনপ্রিয় হচ্ছে পার্চিং পদ্ধতি

জেলায় কীটনাশকমুক্ত ধান উৎপাদনের লক্ষ্যে কৃষকদের মাঝে পার্চিং পদ্ধতি দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। কৃষি বিভাগের উদ্যোগে বিভিন্ন মাঠে পার্চিং পদ্ধতিতে পোকা দমন করছে কৃষকরা।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বোরো ধানে পোকা দমনে কৃষকরা ক্ষতিকর কীটনাশক ব্যবহার করে থাকে। মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারের কারণে শত্রু পোকা নিধনের সাথে বন্ধুপোকা মারা যায়। এছাড়া কীটনাশকের ব্যবহারে মানবদেহে রোগব্যাধিসহ নানা ধরণের ক্ষতি হয়ে থাকে। ধানসহ ফসলে কীটনাশকের ব্যবহার কমাতে কৃষি মন্ত্রীর নির্দেশে সারাদেশে পার্চিং পদ্ধতিতে ক্ষতিকারক পোকা নিধন করা হচ্ছে।

বোরো ধানের জমির মধ্যে বাঁশের কঞ্চি, গাছের ডালা পুঁতে দেওয়া হচ্ছে। যার কারণে পাখিরা এসব ডালে বসে পোকা ধরে খেয়ে ফেলবে। এর মাধ্যমে পোকার আক্রমণ কমে যাবে এবং কৃষকদের কীটনাশক ব্যবহার কমে আসবে। এতে ধান উৎপাদনে কৃষকদের খরচের পরিমাণ কমে আসবে জানান সংশ্লিষ্টরা।

ভদ্রবিলা ইউনিয়নের পাইকড়া গ্রামের কৃষক আবজাল শেখ জানান, কৃষি অফিসারের পরামর্শ অনুযায়ী ধানক্ষেত্রে গাছের ডাল পুতে দেওয়া হয়েছে। পাখি বসে পোঁকা ধরে খেয়ে ফেলছে। পোকার আক্রমণ কমে গেলে এখন থেকে কীটনাশক ব্যবহার করা লাগবে না।

সদর উপজেলার সিবানন্দপুর গ্রামে কৃষক মনিরুল ইসলাম জানান, বোরো ধানে পোকার আক্রমণের কারণে ৩/৪ বার কীটনাশকের ব্যবহার করতে হয়। পার্চিং পদ্ধতিতে পোকার আক্রমণ কমে গেলে ফসলের ফলন ভাল হবে।
নড়াইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক চিন্ময় রায় জানান, জেলার তিনটি উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন ইউনিয়নের মাঠ পর্যায়ে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের নিয়ে পার্চিং পদ্ধতি নিয়ে কাজ করেছে। কৃষি মন্ত্রীর নির্দেশনায় এ কর্মসূচির মাধ্যমে নড়াইলসহ সারাদেশে কীটনাশকের ব্যবহার কমে আসবে বলে জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, এ পদ্ধতিতে পোকা দমন করলে কৃষকের রাসায়নিক ওষুধ ব্যবহার করতে হয়না এতে করে খচর কম হয় কৃষক লাভবান হবে।

এমআর/