নড়াইলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ হাজার ৭শ’৩০ হেক্টর বেশি জমিতে রোপা আমন চাষ

চলতি মওসুমে জেলার ৩উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১হাজার ৭শ’৩০ হেক্টর বেশি জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ হয়েছে।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর তিন উপজেলায় ৩৭ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেও ধান চাষ হয়েছে ৩৮ হাজার ৭শ’ ৪০ হেক্টর জমিতে। আবাদকৃত জমিতে ১লাখ ৭ হাজার ৪শ’৩২ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হবে বলে কৃষি কর্মকর্তারা আশাপোষণ করছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মওসুমে নড়াইল সদর উপজেলায় ১৮ হাজার ১শ’৭৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল।এ উপজেলায় চাষ হয়েছে ১৮ হাজার ৯শ’৫০ হেক্টর জমিতে।লোহাগড়া উপজেলায় ৮ হাজার ৭শ’ ১৫হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল।এ উপজেলায় চাষ হয়েছে ১০ হাজার ২শ’ হেক্টর জমিতে। কালিয়া উপজেলায় ১০হাজার ১শ’২০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এ উপজেলায় চাষ হয়েছে ৯ হাজার ৫শ’৯০ হেক্টর জমিতে ।

লোহাগড়া উপজেলার আমাদা গ্রামের কৃষক তালুকদার মনিরুজ্জামান কালু জানান, রোপণকৃত জমিতে বর্তমান সময়ে ধানের শীষ বের হচ্ছে। আগাম রোণনকৃত জমির ধানের শীষ সোনালী রুপ ধারন করতে শুরু করেছে।আমন ধানের চাল সুস্বাদু ও মিষ্টি।এ কারণে বাজারে এ চালের চাহিদা সব সময় বেশি থাকে।তাই প্রতি বছর আগ্রহ সহকারে তারা এ ধান চাষাবাদ করে থাকেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, এ জেলায় ব্রি-২৮,১১,৩৪,৫৬ ও ৫৮ জাতের রোপা আমন ধানের চাষ বেশি হয়ে থাকে।রোপা আমন ধানের চাষ সফল করতে জেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের নিয়মিতভাবে মনিটরিং করা হয়ে থাকে।আগামি নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে এ ধান কাটার কাজ শুরু হবে বলে তিনি জানান।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, নড়াইলের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ চিন্ময় রায় বলেন, কৃষি কর্মকর্তাদের নিয়মিত তদারকি এবং কৃষকদের আগ্রহে প্রতি বছর এ জেলায় রোপা আমনের চাষ বাড়ছে।তাছাড়া এ জেলার মাটি ও আবহাওয়া আমন ধান চাষের জন্য সবচেয়ে উপযোগী। এক্ষেত্রে নড়াইলকে আমন ধান চাষের আদর্শ জেলা বলা যায় বলে তিনি জানান।