নয় মাসে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি কমেছে ১২.৫৭ শতাংশ

তৈরি পোশাক ও কৃষিজাত পণ্য রপ্তানিতে ভালো প্রবৃদ্ধি থাকলেও চামড়া, পাট ও হোম টেক্সটাইল খাতে ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না বাংলাদেশ। এ তিন বড় খাতের রপ্তানি ধারাবাহিকভাবে কমছে। ফলে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাস শেষে পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি কমে ১২ দশমিক ৫৭ শতাংশে নেমেছে। অথচ ৬ মাস শেষে প্রবৃদ্ধি ছিল ১৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ।

সব মিলিয়ে চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে ৩ হাজার ৯০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। গত অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে রপ্তানি হয়েছিল ২ হাজার ৭৪৫ কোটি ডলারের পণ্য।

চলতি অর্থবছর ৩ হাজার ৯০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য ঠিক করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সে লক্ষ্য অর্জনে শেষ ৩ মাসে ৮১০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করতে হবে। গত ৯ মাসের ধারা বজায় থাকলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পণ্য রপ্তানি হবে। এখন পর্যন্ত প্রতি মাসে গড়ে ৩০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে।

ইপিবির তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছর ৩ হাজার ২৬৮ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। ৯ মাসে ২ হাজার ৫৯৫ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। তার মধ্যে নিট পোশাক রপ্তানিতে ১ হাজার ২৮০ এবং ওভেন পোশাক রপ্তানিতে ১ হাজার ৩১৫ কোটি ডলার আয় হয়েছে। নিট পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১৩ দশমিক ০৭ এবং ওভেন পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১৪ দশমিক ২২ শতাংশ।

চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ৭৭ কোটি ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৯ শতাংশ কম। বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএলএলএফইএ) চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, চামড়ার আন্তর্জাতিক বাজারে এখন মন্দাভাব চলছে। মানুষ ব্যয় কমাতে চামড়ার বিকল্প পণ্যের দিকে ঝুঁকছে।

এদিকে চলতি অর্থবছরে প্রথম ৯ মাসে ৬২ কোটি ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২৩ দশমিক ২৩ শতাংশ কম। এ ছাড়া ৬৪ কোটি ডলারের হোম টেক্সটাইল রপ্তানি হয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ কম। অন্যদিকে ৭২ কোটি ডলারের কৃষিজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫৩ শতাংশ।