পগবা বিশ্বকাপ তুলে দিলেন মায়ের হাতেই

বিশ্বকাপের আগে পল পগবাকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা ছিল বিস্তর। ম্যানইউর হয়ে তার পারফরম্যান্স ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। যতটা না প্রতিভা, তার চেয়ে দিতে পারেন কম। ক্লাব এবং জাতীয় দলের অনুজ্জ্বল পারফরম্যান্সই পগবাকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছিল। সমালোচনাও কম হয়নি।

তবে, কোচ দিদিয়ের দেশম সে সব সমালোচনাকে পাত্তা না দিয়ে পগবার ওপর আস্থা রেখেছিলেন। ম্যানইউর এই তারকা সেই আস্থার প্রতিদান দিলেন পুরোপুরি। পুরো বিশ্বকাপে অসাধারণ খেলার পাশাপাশি ফাইনালে করলেন দুর্দান্ত এক গোল। ক্রোয়েশিয়ার প্রবল পরাক্রমে যেভাবে ম্যাচে ফ্রান্সের ওপর চেপে বসেছিল, তখন এক শঙ্কা সবার মধ্যে তৈরি হয়ে যায়, ফ্রান্স না আবার হেরে যায়!

গ্রিজম্যানের পেনাল্টি থেকে নেয়া গোলের পর কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও, সেটাকে নিশ্চিত একটা জায়গা নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল। ম্যাচের ৫৯ মিনিটে সেই প্রয়োজনীয় কাজটা করলেন পগবাই। করলেন দারুণ এক গোল। ফাইনালে গোল করার দারুণ কৃতিত্বের অধিকারী হয়ে গেলেন তিনি। ক্রোয়েশিয়াকে ৪-২ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপ জয় করলো পগবার ফ্রান্সই।

বিশ্বকাপ জয়ের পর পল পগবা মাঠে যে নজির স্থাপন করলেন তা বর্ণনাতীত। তিনি মাঠেই নিয়ে এলেন তার মা এবং দুই ভাইকে। মায়ের হাতে তুলে দিয়েছিলেন বিশ্বজয়ের স্মারণ, বিশ্বকাপ ট্রফি। তার মায়ের নাম ইয়ো মরিবা। খুব ছোটবেলায় অনেক কষ্ট করে পগবাসহ তাদের তিন ভাইকে মানুষ করেন তালাকপ্রাপ্ত এই নারী।

রোববার লুঝনিকি স্টেডিয়ামে তিনিও ছিলেন। ফাইনালের পরে মাঠেও এসেছিলেন। মায়ের হাতে ট্রফি তুলে দিয়ে, দুই ভাইকে সঙ্গে নিয়ে ছবি তুললেন পগবা। মাতৃভক্তি এবং পরিবার ভক্তির অনন্য নজির স্থাপন করলেন পগবা।

এই ঘটনায় অনেকেরই মনে পড়ে পগবার সেই প্রতিক্রিয়ার কথা! মা দিবসে নিজের টুইটারে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমি ভাগ্যবান যে তোমার ছেলে হতে পেরেছি।’ এই মুহূর্তে বিশ্বফুটবলের বর্ণময় এক চরিত্র পল পগবা যে তার পদকটা নিজের মায়ের গলায় পরিয়ে দেবেন, এটাই স্বাভাবিক।

এসএম/