পদ্মা বহুমুখি সেতু প্রকল্পের মূল সেতুর কাজের অগ্রগতি ৭৬ শতাংশ : কাদের

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পদ্মা বহুমুখি সেতু প্রকল্পের মূল সেতুর কাজের অগ্রগতি ৭৬ শতাংশ। এ প্রকল্পের নদী শাসন কাজের অগ্রগতি শতকরা ৫৫ ভাগ উল্লেখ করে তিনি বলেন,সংযোগ সড়কের কাজ ইতোমধ্যেই শতভাগ শেষ হয়েছে। তবে সার্বিকভাবে পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি এখন ৬৭ শতাংশ। ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামীকাল মঙ্গলবার অথবা পরের দিন ২২ মে (বুধবার) পদ্মা সেতুর ১৩তম স্প্যানটি বসানো হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী আজ সোমবার রাজধানীর মহাখালীস্থ সেতু ভবনের সম্মেলন কক্ষে পদ্মা বহুমুখি সেতু, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলি নদীর তলদেশে সড়ক টানেল নির্মাণসহ বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনায় অনুষ্ঠিত জরুরী সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
বেলা ১১টায় এ বৈঠক শুরু হয়। প্রায় ২ ঘন্টা ধরে এ বৈঠক চলে। সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, বিভিন্ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এবং সেতু বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

এদিকে আজ বিকেলে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ওবায়দুল কাদের বলেন, মূল সেতুর নদীর মধ্যে ২৬২ টি পাইলের মধ্যে ২৩৬টির কাজ শেষ হয়েছে এবং অবশিষ্ট ২৬টি পাইলের কাজ এ বছরের জুলাই মাসের মধ্যে শেষ হবে।

তিনি জানান, মূল সেতুর ৪২টি পিয়ারের মধ্যে ২৫টির কাজ পুরাপুরি সম্পন্ন হয়েছে, আগামী জুন মাসের মধ্যে আরও ৬টি পিয়ারের কাজ শেষ হবে এবং বাকি ১১টির কাজ চলমান আছে। এ সেতুর মোট স্প্যান ৪১টি একথা উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, মাওয়া সাইটে এ পর্যন্ত ট্রাস (স্প্যান) এসেছে ২৩টি। এর মধ্যে ১২টি স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এছাড়াও অবশিষ্ট স্প্যানগুলোর কাজ চীনে প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। মাওয়া ও জাজিরা ভায়াডাক্টের পাইলিং এবং পিয়ারের কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে পিয়ার ক্যাপ এবং গার্ডার স্থাপনের কাজ চলছে। মোট ১৩ কিলোমিটার নদীশাসন কাজের মধ্যে ৩ (তিন) কিলোমিটার সম্পূর্ণ হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আরও ৪ (চার) কিলোমিটারের কাজ সম্পন্ন হবে।

বৈঠকের উদ্ধৃতি দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বল হয়, চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী টানেল বোরিং মেশিনের (টিবিএম) মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহুলেন সড়ক টানেল নির্মাণ প্রকল্পের খনন কাজের শুভ উদ্ভোধন করেন।
ইতিমধ্যে প্রতিটি ২ মিটার দৈর্ঘ্যরে ৮০টি টানেল রিং বসানোর কাজ অর্থাৎ ১৬০ মিটার টানেল খননের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। গত ৩০ এপ্রিল ২০১৯ পর্যন্ত সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৩৮ ভাগ। ২০২২ সালে টানেলটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে।

বিজ্ঞপিতে বলা হয়, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পিপিপি প্রকল্পের ভৌত কাজে এ পর্যন্ত ১৩৩৩টি পাইল, ৩০০টি পাইল ক্যাপ, ৭৯টি ক্রস-বিম, কলাম ১৮৭ (সম্পূর্ণ) ও ১১৯টি (আংশিক), ১৮৬টি আই গার্ডার নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।

এছাড়াও ১ম ধাপের ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়েছে এবং ২য় ও ৩য় ধাপের ক্ষতিপূরণ প্রদাান চলমান আছে।
ঢাকা শহরে সাবওয়ে (আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রো) নির্মাণে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা কাজের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান (টিওয়াইপিএসএ) ইনসেপশন রিপোর্ট দাখিল করেছে এবং আগামী জুন মাসের মধ্যে ইনটেরিম রিপোর্ট দাখিল করবে। ডিসেম্বর ২০২০ নাগাদ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন হবে।