পরশুরামে ব্রি হাইব্রিড ধান-৫ চাষে আশান্বিত কৃষকরা

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের হাইব্রিড রাইস বিভাগের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আনোয়ারা আক্তার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. কামরুজ্জামান এবং উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সামসুল হুদার সহযোগিতায় চাষের জন্য কৃষককে এ ধানের বীজ প্রদান করা হয়। সূত্র আরও জানায়, ধান চাষের সময় ব্রি’র বিজ্ঞানী আনোয়ারা আক্তার ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সরেজমিনে উপস্থিত থেকে চাষাবাদ সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করেন। গতকাল প্রদর্শনী ধান কাটার সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও উপ-সহকারী কৃষিকর্মকর্তা এবং এলাকার অন্যান্য কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।

এ ধানের ফলন ভালো হওয়ায় এলাকার কৃষকরা ব্রি হাইব্রিড ধান-৫ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কৃষক আলমগীর হোসেন মন্টু বলেন, ব্রি’র বিজ্ঞানী ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে এবারই প্রথমবার ব্রি হাইব্রিড ধান-৫ আবাদ করি। তিনি বলেন, তুলনামূলকভাবে এ ধানের ফলন অন্যান্য ধানের তুলনায় বেশী হয়েছে। গ্রামের অনেক কৃষক আমার এ হাইব্রিড ধানের জমি দেখে উৎসাহিত হয়েছে। তারাও এই হাইব্রিড ধানের জাতটি চাষাবাদে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। যদি আগামীতে পর্যাপ্ত বীজ পাই তাহলে আরও বেশী পরিমাণ জমিতে আবাদ করার ইচ্ছা রয়েছে বলে জানান তিনি। পরশুরাম উপজেলার কৃষিকর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. কামরুজ্জামান বলেন, ব্রি হাইব্রিড ধান-৫ জাতটি পোকামাকড় ও রোগবালাই সহনশীল এবং অধিক ফলনশীল। এছাড়াও এটির আয়ুষ্কাল ব্রি ধান-২৮ জাতের অনুরূপ এবং ফলন বেশী হওয়ায় নির্বাচিত কৃষক ছাড়াও গ্রামের আরও অনেক কৃষক আবাদে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ব্রি হাইব্রিড ধান-৫ এই এলাকায় চাষাবাদের উপযোগী। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান