পশুর হাটে বসতে দেয়া হবে না কোনো প্রকার দোকান

পশুর হাটে কোন প্রকার ভ্রাম্যমান দোকান বসতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। তিনি আজ বুধবার ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা-২০২০ উপলক্ষে সার্বিক আইন শৃংখলা রক্ষা এবং ট্রাফিক ব্যবস্থা সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় একথা জানান।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, পশুর হাটে খাবারের সাথে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে মানুষকে অজ্ঞান করা হয়। এক্ষেত্রে হাট ইজারাদাররা হাটে স্থায়ী খাবার দোকান ও টি স্টল বসাবেন। কোন প্রকার ভ্রাম্যমান দোকান বা হকার হাটের মধ্যে বসতে দেওয়া যাবে না। যে ব্যক্তিকে হাটে স্থায়ী খাবার দোকান দেওয়া হচ্ছে তার পরিচয় থানায় জমা দিবেন বলে ইজারাদারদের নির্দেশনা দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তিন হাজারের অধিক সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন জানিয়ে কমিশনার বলেন, ইতোমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ডিএমপির ২১জন সদস্য মারা গেছেন। পশুর হাটের চৌহদ্দির আশপাশে আমাদের নিরাপত্তা থাকবে। প্রতিটি হাটের নামে অনলাইনে পশুর হাটে কুরবানির পশু বিক্রি করতে পারলে ভালো হয়। এতে নিরাপদে পশু কেনা যাবে। হাট কর্তৃপক্ষ অনলাইনে বিক্রির মাধ্যমে আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা এড়াতে পারবেন। হাট ছাড়া কেউ বাহির থেকে অনলাইনে গরু কিনে আনলে তার থেকে কোন হাসিল নেওয়া যাবে না।

কমিশনার বলেন, পশু বেচাকেনার টাকা নিরাপদ রাখতে হাটে ব্যাংকের অস্থায়ী বুথ স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জালটাকা সনাক্তকরণে হাটে অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুমে জালটাকা সনাক্তকরণ মেশিন বসানো হবে।

গরু বহনকারী ট্রাকগুলোকে একটি শৃংখলার মধ্যে আনতে ক্রাইম বিভাগের সকল উপ-পুলিশ কমিশনারকে (ডিসি) নির্দেশ প্রদান করে কমিশনার বলেন, গরু নিয়ে হাটে আগত ট্রাকগুলো শৃংখলার মধ্যে রাখতে হবে। গাড়ির নম্বর ও ড্রাইভারের নাম পরিচয় এবং তার ছবি তুলে পুলিশের কাছে সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। যাতে করে ড্রাইভারকে দ্রুত সনাক্ত করা যায়।

বাস মালিকদের প্রতি নির্দেশনা দিয়ে কমিশনার বলেন, দেখা যায় করোনায় আক্রান্তরা ঢাকা থেকে যাচ্ছেন ও আসছেন। এতে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। কোন যাত্রীর কাশি ও জ্বর থাকলে গাড়িতে উঠতে দিবেন না। যাত্রী সাধারণকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যাতায়াত করার জন্য পরামর্শ দেন ডিএমপি কমিশনার।

কমিশনার বলেন, মার্কেটে ক্রেতা ও বিক্রেতা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। আমরা আশা করি সবাই চেষ্টা করলে ভালোভাবে ঈদুল আযহার সকল আয়োজন শেষ করতে পারবো। ঈদ ও তার পরবর্তী সময় বাসা-বাড়ি, দোকান, মার্কেট, স্বর্ণের দোকান ও ব্যাংকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান