পাঁচ বছর বয়সী মেয়েকে পিপাসায় মেরে ফেলার অভিযোগে জার্মান নারীর বিচার শুরু

জার্মানীতে পাঁচ বছর বয়সী একটি মেয়েকে পিপাসায় মেরে ফেলার অভিযোগে মঙ্গলবার এক জার্মান নারীর বিচার শুরু হয়েছে। ওই নারী জিহাদি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট এ যোগ দিয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।

লন্ডনভিত্তিক প্রখ্যাত মানবাধিকার আইনজীবী আমাল ক্লুনি ওই ইয়াজিদি মেয়েটির মায়ের পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী দলের সদস্য।
তবে মঙ্গলবারে মিউনিখের ওই বিচারকার্যে তিনি উপস্থিত থাকবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে।
অভিযুক্ত নারীর নাম জেনিফার ডব্লিউ। তার বয়স ২৭ বছর।
জেনিফারের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ, হত্যা, সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য হওয়া ও অস্ত্র রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে।
সাপ্তাহিক পত্রিকা ডের স্পিয়েগেল জানিয়েছে, জেনিফারের নিজেরও একটি ছোট মেয়ে রয়েছে।
এফবিআই একটি গাড়িতে আড়ি পাতা যন্ত্রের মাধ্যমে জেনিফারের অপরাধের স্বীকারোক্তি পায়। গাড়িতে সে তার কৃতকর্মের জন্য নিজেকে ধিক্কার দিচ্ছিল।
জার্মান প্রসিকিউটররা অভিযোগ করেন, ২০১৫ সালে জেনিফারের আইএস স্বামী একটি ইয়াজিদি মেয়ে ও তার মাকে কিনেছিলেন। তিনি তাদেরকে তাদের বাড়ির কাজ করার জন্য নিয়ে আসেন। তারা তখন আইএস দখলকৃত ইরাকের মসুল নগরীতে থাকতেন।
প্রসিকিউটররা অভিযোগ করেন, ‘মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং তোশক ভিজিয়ে দেয়। লোকটি ঘরের বাইরে মেয়েটিকে একটি চেন দিয়ে বেঁধে রাখে। প্রচন্ড গরমে ও পানি পিপাসায় মেয়েটি মারা যায়।’
প্রসিকিউটররা জানায়, ‘অভিযুক্ত তার স্বামীকে এই নির্মম কাজটি করতে বাধা দেয়নি এবং শিশুটিকে বাঁচাতে কিছুই করেনি।’
উল্লেখ্য, জেনিফার অষ্টম গ্রেডে পড়ার সময় স্কুল ত্যাগ করেন এবং ২০১৩ সালে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
তিনি ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে তুরস্ক ও সিরিয়া হয়ে ইরাকে যান এবং আইএস-এ যোগ দেন।