পাকিস্তানি শাসকদের অবহেলায় ‘৭০ এর ঘূর্ণিঝড়ে ১০ লাখ লোকের প্রাণহানি ঘটেছিলো

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বাঙালিদের প্রতি পাকিস্তানি শাসকদের অবহেলার কারণে ‘৭০ এর ১২ নভেম্বরের ঘূর্ণিঝড়ে ১০ লক্ষ লোক মারা যায়।

তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানিরা ঘূর্ণিঝড়ের আগাম কোন তথ্য দেয়নি। বিদেশীদের নিকট হতে সাহায্য পেলেও পশ্চিম পাকিস্তান থেকে কোন সাহায্য আসেনি। এমনকি ঘুর্ণিঝড়ে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়েও তারা মিথ্যাচার করেছিল।’

আজ ঢাকার বিয়াম অডিটোরিয়ামে ‘দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাসে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) স্বেচ্ছাসেব’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: মোহসীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান, সিপিপি’র পরিচালক আহমাদুল হক, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব মো. ফিরোজ সালাহউদ্দিন এবং সিপিপি’র প্রথম পরিচালক মুহাম্মদ সাইদুর রহমান বক্তব্য রাখেন।

মন্ত্রী বলেন, বাঙালিদের প্রতি অবজ্ঞার জবাব বাঙালিরা দিয়েছিল ‘৭০ এর নির্বাচনে পাঞ্জাবিদের প্রত্যাখ্যান করে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে তাদের আত্মসমর্পণে বাধ্য করে।

মন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় এবং মানুষের জানমাল রক্ষায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম মুজিব কিল্লা নির্মাণ করেন। তিনি ১৯৭৩ সালে দুর্যোগ প্রশমনে স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ‘ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি’ প্রতিষ্ঠা করেন, যা বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। বঙ্গবন্ধুর ধারাবাহিকতায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ কার্যক্রমে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বিশ্বে রোল মডেল।

ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো.এনামুর রহমান বলেন,সিপিপি’র স্বেচ্ছাসেবকদের সাহসিকতা এবং আন্তরিক কার্যক্রমের জন্য বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়ে মৃত্যু সংখ্যা অনেক কমে এসেছে।

অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন স্থান হতে আগত সিপিপি’র স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে দুর্যোগে জীবন ও সম্পদ রক্ষায় অবদানের জন্য ৭৯ জনকে স্বেচ্ছাসেবককে পুরস্কার দেয়া হয়। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান