পানি কম লাগে এমন ফসল উৎপাদনের দিকে নজর দিতে হবে : বেগম মতিয়া চৌধুরী

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, যে সকল শস্য উৎপাদনে পানির ব্যবহার কম হয়, সে সকল ফসল উৎপাদনে কৃষকদের উৎসাহিত করতে করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘যে ফসল পানি কম লাগে, সে ফসলের দিকে নজর দিতে হবে। এক কেজি চাল উৎপাদনে ৩২শ’ লিটার পানি ব্যয় করতে হয়। বরেন্দ্র অঞ্চলে যেখানে সেখানে ডিপ টিউবওয়েল বসানোয় ১০ কিলোমিটার নিচে পানির স্তর নেমে গেছে।’

বেগম মতিয়া চৌধুরী আরো বলেন, ভট্টাসহ যে সকল ফসল উৎপাদনে পানির ব্যবহার কম হয়, সে সকল শষ্য উৎপাদনে প্রয়োজনীয় কর্ম পরিকল্পনা গ্রহন করতে হবে।
বেগম মতিয়া চৌধুরী আজ দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপ-কমিটির উদ্যোগে আগামী ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে ‘ বাতাস দূষণ : আমাদের করণীয় ও পদক্ষেপ’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আফতাব আলী শেখ।

এতে আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন বিশিষ্ট নগর ও পরিবেশবিদ এবং ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, বিশিষ্ট পরিবেশবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন, আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. হাফিজুর রহমান কার্জন, ডিবিসি টেলিভিশনের সিইও মুঞ্জুরুল ইসলাম, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এড. মনজিল মোরশেদ ও বাংলাদেশ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি কামরুল ইসলাম চৌধুরী।
সেমিনার সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।
বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, তাপমাত্রা কমানো যায় এমন অনেক গাছপালা রয়েছে। এসব গাছপালা এমনিতে জন্মে। সে গাছগুলো কেটে একাশি, ইউক্যালিপটাস গাছসহ বিভিন্ন বিদেশী গাছ রোপন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এই বিদেশী গাছগুলো শুধু নগর নয়, গ্রাম দখল করতে শুরু করেছে। এসকল গাছের নেতিবাচক প্রভাবে গাছের ডাব পর্যন্ত শুকিয়ে যাচ্ছে। এসব গাছে কোন পাখি পর্যন্ত বসে না।
এ সময় তিনি নিমগাছ সহ বিভিন্ন দেশীয় বৃক্ষ রোপনের প্রতি গুরুত্বারোপ করে তিনি আরো বলেন, ভারতের রাজধানী দিল্লীতে শুধু নিমগাছ রোপনের মাধ্যমে ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা হ্রাস করা সম্ভব হয়েছে।

সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবেশ উন্নয়নে অবদান রাখায় চ্যাম্পিয়ান অব দ্য আর্থ পুরুষ্কারে ভূষিত হয়েছেন। বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আজ যে সেমিনারের শুরু হলো মুজিববর্ষেও তা নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
মূল প্রবন্ধে ড. মো. আফতাব আলী শেখ বাতাস দূষণ রোধে গণ পরিবহনের সংখ্যা বৃদ্ধি, পরিবেশ বান্ধব যানবাহন ব্যবহার, বনায়নের পরিমান বৃদ্ধি, শক্তির অপচয় রোধ, পলিথিনের ব্যবহার সম্পূর্ন নিষিদ্ধ, সৌর শক্তির ব্যবহারকে উৎসাহিত করা ও ধূমপান নিষিদ্ধ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।