পাপিয়া দম্পতির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন আরও ৫ জন

নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলায় আরও ৫ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে।
এনিয়ে মামলার ১২ জনের মধ্যে ৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।
সাক্ষিরা হলেন, এএসআই সুমন মিয়া, সিপাহি ফারুক হোসেন, সিপাহি আলেয়া খাতুন, সঙ্গীয় ফোর্স জীবন চন্দ্র ও বাড়ির ম্যানেজার দীপ্ত দাস।
বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে তাদের সাক্ষ্য নেয়া হয়। এরপর তাদের জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এদিন সাক্ষ্য গ্রহণের আগে মামলার জব্দ তালিকার সাক্ষি র‌্যাবের উপ-পরিদর্শক সাইফুল আলমকে জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী।
এরআগে গত সোমবার মামলার জব্দ তালিকার সাক্ষি র‌্যাবের উপ-পরিদর্শক সাইফুল আলম আদালতে সাক্ষ্য দেন।
২৩ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন।
গত ২৯ জুন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের উপপরিদর্শক আরিফুজ্জামান শেরেবাংলা নগর থানার অস্ত্র মামলায় তাদের বিরুদ্ধে এ চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে ১২ জনকে সাক্ষি করা হয়েছে ।
২২ ফেব্রুয়ারি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেশত্যাগের প্রাক্কালে পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। অন্যরা হলেন, পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমন (৩৮), সাব্বির খন্দকার (২৯) ও শেখ তায়্যিবা (২২)।
তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, নগদ ২ লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ ইউএস ডলারসহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়।
ওইদিন রাতেই নরসিংদীর বাসায় এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে হোটেল ওয়েস্টিনে তাদের নামে বুকিং করা বিলাসবহুল প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটে অভিযান চালানো হয়।
এছাড়া ফার্মগেট এলাকার ২৮ নম্বর ইন্দিরা রোডে রওশন’স ডমিনো রিলিভো নামক বিলাসবহুল ভবনে তাদের দুটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি পিস্তলের ম্যাগজিন, ২০ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ ও নগদ ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেক, বিদেশি মুদ্রা, বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি ভিসা ও এটিএম কার্ড জব্দ করে র‌্যাব।
এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় অস্ত্র আইনে একটি, বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি এবং বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা করা হয়।