পাবনায় উদ্ধার মরদেহটি যুবলীগ নেতার

পাবনার ঈশ্বরদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এলাকার পদ্মা পাড় থেকে উদ্ধারকৃত মরদেহটি যুবলীগের এক নেতার বলে শনাক্ত করেন তার স্বজনরা।

নিহতের নাম শাহজাহান আলী (৫০)। তিনি রাজশাহীর তানোর উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি ছিলেন। শাহজাহান আলী তানোর উপজেলার বাধাইড় ইউনিয়নের শিবরামপুরের মৃত জবেদ আলীর ছেলে।

গত ১৬ জুলাই সকালে ওই মরদেহ উদ্ধার করে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ। শনাক্ত না হওয়ায় পরদিন আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম বেওয়ারিশ হিসেবে মরদেহ দাফন করে।

১৫ জুলাই বাড়ি থেকে বের হয়ে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। সন্ধান না পেয়ে সোমবার তার ছেলে শফিকুল ইসলাম সরল তানোর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এতে বলা হয়েছে, ১৫ জুলাই সকালে ব্যবসায়ীক কাজে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে মুন্ডুমালা বাজারে যান। সারাদিন বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা তাকে খোঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে তার মোরসাইকেল মুন্ডুমালা বাজারের হক এন্টারপ্রাইজের কাছে পাওয়া যায়।

হত্যাকাণ্ডের কারণ ও এর সঙ্গে কারা জড়িত তা নিশ্চিত করতে পারেন নি নিহতের স্ত্রী শিরিনা বেগম।

এবিষয়ে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন বলেন, অজ্ঞাতপরিচয় মরদেহ উদ্ধার করেন তারা। নিহদের গায়ের রঙ শ্যামলা। পরনে সবুজ হাফ হাতা শার্ট ও সুতির লুঙ্গি ছিল।

ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার বিকেলে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে মরদেহ পাবনা পুলিশ লাইন সংলগ্ন লাইব্রেরি বাজার এলাকায় দাফন হয়।

তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে ঈশ্বরদী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পরে নিহতের এক আত্মীয়ের মাধ্যমে মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা হয়।

এছাড়া তানোর থানা থেকে তার ছেলের করা একটি নিখোঁজের জিডি পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে এখন তানোর থানা পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেবে।

তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম বলেন, শাহজাহানের মরদেহ পাওয়ার বিষয়টি আমরা নিশ্চিত হয়েছি। এখন পরিবার চাইলে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মরদেহ আনা হবে।

এছাড়া কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওসি রেজাউল ইসলাম।

আজকের বাজার/একেএ