পুঁজিবাজার এখন নিয়ন্ত্রণে নেই, সংসদে অর্থমন্ত্রী

পুঁজিবাজার ‘ঠিকই আছে’ দাবি করে সাংবাদিকদের দোষারোপ করার এক সপ্তাহের মাথায় সংসদে গিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বললেন অন্য কথা।

২৮ এপ্রিল, রোববার সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি স্বীকার করলেন, দেশের পুঁজিবাজার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেই, ব্যাংক খাতের অবস্থাও নাজুক।

সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের এমপি আহসানুল ইসলাম টিটুর একটি সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, কোনো দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হওয়ার প্রথম প্রতিফলন দেখা যায় পুঁজিবাজারে। পুরো পৃথিবীতেই পুঁজিবাজার ও অর্থনীতি এভাবে সম্পৃক্ত থাকে।

পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করার জন্য সরকার সব ধরণের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি আরও বলেন, কোনো দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হওয়ার প্রথম প্রতিফলন দেখা যায় পুঁজিবাজারে। পুরো পৃথিবীতেই পুঁজিবাজার ও অর্থনীতি এভাবে সম্পৃক্ত থাকে। আমাদের দেশের অর্থনীতি অত্যন্ত চাঙ্গা। অত্যন্ত শক্তিশালী। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ও আইএমএফ আমাদের অর্থনীতি দেখে উচ্ছ্বসিত। তারা অন্য দেশগুলোকে বাংলাদেশকে অনুসরণ করতে বলেছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এগিয়ে যাওয়া থমকে যাবে, যদি আমাদের পুঁজিবাজারকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি। আমি বলব, পুঁজিবাজারটি এখন নিয়ন্ত্রণে নাই। তবে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নেই, এটা বলব না। তবে পুঁজিবাজারে যে সকল সমস্যা আছে, এরইমধ্যে আমরা চিহ্নিত করেছি। সবগুলোই এক এক করে সমাধান দেব।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার সামষ্টিক অর্থনীতির ক্ষেত্রে যেমন যত্নশীল, ঠিক তেমনিভাবে পুঁজিবাজার নিয়েও ততটাই যত্নশীল।’

পুঁজিবাজারের সঙ্গে সম্পৃক্তদের নিয়ে সভা করার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আরো মিটিং করব। আর দশটি দেশে পুঁজিবাজার যেভাবে চলে আমরাও সেইভাবে চালানোর চেষ্টা করব। এক্ষেত্রে যেসব জায়গায় বিচ্যুতি আছে তা অবশ্যই দূর করা হবে। যেহেতু পুঁজিবাজার আর অর্থনীতি একে অপরের সঙ্গে সম্পৃক্ত, কাজেই সঙ্গত কারণেই পুঁজিবাজারের জন্য আগামী বাজেটে প্রণোদনা থাকবে। তবে কতটা থাকবে তা এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। অবশ্যই পুঁজিবাজারকে শক্তিশালীভাবে চালানোর জন্য যা কিছু উপজীব্য, সেটাই করা হবে।’