পুরান ঢাকার কেমিক্যাল আমদানি বন্ধ করতে চায় এনবিআর

সরকারের নির্দেশনা পেলে পুরান ঢাকার ঠিকানায় কেমিক্যাল আমদানি বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূইয়া।

মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবন সম্মেলনকক্ষে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সেরা ভ্যাট দাতা ১০ প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাট সম্মাননা সনদ ও ক্রেস্ট প্রদান অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান একথা বলেন।

কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকা পশ্চিমের কমিশনার ড. মইনুল খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপবি) ভাইস চেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্য্য, বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম, এনবিআরের সদস্য শাহনাজ পারভীন প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

মোশাররফ হোসেন ভূইয়া বলেন, সরকার যদি সিদ্ধান্ত নেয় পুরান ঢাকার কোনো ঠিকানায় কেমিক্যাল আমদানি হবে না। তাহলে সেটা দ্রুত কাজ হবে। আমরাও বিষয়টি নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আশা করি দ্রুত একটা সমাধানে পৌঁছাতে পারব।

ব্যাংকগুলো পুরান ঢাকার ঠিকানায় এলসি বন্ধ করলে এবং এনবিআর আমদানির অনুমোদন না দিলে ব্যবসায়ীরা সরে যেতে বাধ্য হবে বলে তিনি মনে করেন।

এসময় মোশাররফ হোসেন বলেন, বাণিজ্য মেলায় ভ্যাট আদায় নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো। রাজস্ব আহরণে ভ্যাটের অবদান ৩৫ ভাগ। এই সম্মাননা ব্যবসায়ীদের ভ্যাট প্রদানে উৎসাহ দেবে। এবার রাজস্ব আহরণে যে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে সেটা সম্পন্ন করা অবশ্যই আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ।

অনুষ্ঠানে ১০ প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাট সম্মাননা ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- হাতিল কমপ্লেক্স, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ, এসকোয়ার ইলেট্রনিকস, র‌্যাংগস ইলেকট্রনিকস, বাটার ফ্লাই মার্কেটিং, আর এফএল ইলেকট্রনিকস্, ফেয়ার ইলেকট্রনিকস্, ডিউরেবল প্লাস্টিক, নাভানা ফার্নিচার এবং রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

এবারের বাণিজ্য মেলায় দেশি-বিদেশি মিলে ৫৬৯টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। মেলা থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ৭ কোটি ১ লাখ টাকা। লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৬ কোটি টাকা। এর আগের বছর আয় হয়েছিলো ৫ কোটি টাকা।

 

আজকের বাজার/এমএইচ