পুলিশকে টার্গেট করে কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বিস্ফোরণ ঘটিয়ে থাকতে পারে : ডিএমপি কমিশনার

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো: আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী পুলিশকে টার্গেট করে সাইন্সল্যাব মোড়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত পারিপার্শ্বিক অবস্থান ও সাক্ষ্য প্রমান বিশ্লেষণ করে এটি প্রতীয়মান হয়েছে। তবে যারাই জড়িত থাকুক তদন্ত-পূর্বক আইনের আওতায় আনা হবে।
আজ দুপুরে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে নগরীর সাইন্সল্যাব মোড়ে শনিবার রাতে ঘটে যাওয়া বোমা বিস্ফোরণ সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক অনানুষ্ঠানিক ব্রিফিংকালে একথা বলেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, শনিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে সাইন্সল্যাবে মোড়ে একটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আমি নিজে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পরবর্তী সময়ে আমাদের ইন্সপেক্টর জেনারেল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং আলামত জব্দ করেছি। সাক্ষ্য প্রমান জব্দের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং ওই এলাকার আশপাশে যেসব সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ রয়েছে সেগুলো আমরা সংগ্রহ করেছি। এর বাইরেও আমাদের প্রযুক্তির প্রয়োজনীয় আনুসাঙ্গিক বিষয় রয়েছে সেগুলো সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করছি।
কমিশনার বলেন, চূড়ান্তভাবে এই ঘটনার এখনই মতামত দেয়া যাবে না, বিস্তারিত তদন্ত শেষে এবং সাক্ষ্য প্রমান বিশ্লেষণ করে চূড়ান্ত মতামত দেয়া যাবে। কারণ এখনও তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন, আলামত বিশ্লেষণ ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় এটি আমাদের কাছে প্রতীয়মান হচ্ছে এই বিস্ফোরকটি একটি আইইডি। কোন সন্ত্রাসী মহল এটি বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।
তিনি বলেন, এর আগে গুলিস্তান ট্রাফিক বক্সে এ ধরণের একটি বিস্ফোরণ ঘটে। সেখানে আমাদের পুলিশ সদস্য আহত হয়। এরপর মালিবাগ পুলিশের গাড়িতে যে বোমা পুতে রাখা হলো সেখানেও টার্গেট ছিল পুলিশ। বেশ কয়েকদিন আগে পল্টন ট্রাফিক পুলিশ বক্স ও খামারবাড়ি পুলিশ বক্সের কাছে কার্টনে বোমা রাখা হয়েছিল। সব ঘটনা থেকে আমাদের কাছে মনে হয়েছে টার্গেট পুলিশ হতে পারে। গতকালের ঘটনাও তার ব্যতিক্রম ছিল না।
কমিশনার বলেন, সন্ত্রাসবাদ বৈশিক সমস্যা এটা শুধু বাংলাদেশের না। আমরা দেখেছি ছোটখাটো ঘটনা বিশ্বব্যাপী হলে কিছু কিছু সাইট থেকে দায়ভার স্বীকার করা হয়। এটি কতটা সত্য ও নির্ভরযোগ্য নাকি এটি আমাদের অভ্যন্তরীন কোন প্রচারণা বা কোন ধরণের ষড়যন্ত্রের অংশ সেটি তদন্ত শেষে বলা যাবে।
ডিএমপি’র এই শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, দেশে বর্তমান আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং বিভিন্ন ক্রিমিনাল মামলার যে বিচার প্রক্রিয়া রয়েছে, সেই বিচার প্রক্রিয়াকে ভন্ডুল করা বা ব্যহত করা বা সমাজের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা কিংবা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মনোবলকে ভেঙ্গে দেয়া এটি চক্রান্ত কি না, সেগুলো আমরা তদন্ত করে দেখব।