পুলিশ কর্মকর্তাদের হত্যার পরিকল্পনায় বিএনপি-জামায়াত: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি ও জামায়াত দুটি পরিকল্পনা নিয়েছে- পুলিশ কর্মকর্তাদের হত্যা এবং তাদের ঘুষের মাধ্যমে প্রভাবিত করা।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি ও জামায়াত এই দুই পরিকল্পনা নিয়েছে। লন্ডনে থাকা এক অপরাধী পরিকল্পনা পাঠিয়েছে।’

অনুষ্ঠানে একাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আইজিপি (পুলিশের মহাপরিদর্শক) থেকে এএসপি (সহকারী পুলিশ সুপার) পদমর্যাদার মোট ৮৮ জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আওয়ামী লীগের প্রতি সমর্থন জানান। তাদের মধ্যে রয়েছেন ১৫ জন আইজিপি, একজন পাকিস্তান পুলিশ সার্ভিসের (পিএসপি) কর্মকর্তা, ১৯ জন অতিরিক্ত আইজিপি, ২৪ জন ডিআইজি, তিনজন অতিরিক্ত ডিআইজি, ১১ জন এআইজি ও এসপি এবং ১৫ জন অতিরিক্ত এসপি।

বিএনপি-জামায়াত প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, এখন নির্বাচন সামনে রেখে কয়েকজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যার লক্ষ্য রয়েছে তাদের।

গত নির্বাচনের সময় বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতা ও আগুন সন্ত্রাস নিয়ে তিনি বলেন, খুনি ও আগুন সন্ত্রাসীরা পুলিশ সদস্যদের নির্দয়ভাবে পুড়িয়ে ও পিটিয়ে মেরেছিল। ‘তারা কত ভয়ঙ্কর কাজ করেছিল তা চিন্তাও করা যায় না।’

এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে পিএসপি কর্মকর্তা বীরবিক্রম মাহবুব উদ্দিন আহমেদ ও এ কে এম শহীদুল হকসহ চারজন সাবেক আইজিপি অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ফুলের তোড়া উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

এ কে এম শহীদুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে কয়েকজন সাবেক আইজিপি বক্তব্য দেন এবং নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে তাদের একাত্মতা প্রকাশ করেন।

সাবেক ১৫ আইজিপি হলেন- এ টি আহাম্মেদুল হক চৌধুরী, কুতবুর রহমান, মো. শামসের আলম, এ কে এম এনায়েতউল্লাহ দেওয়ান, মো. আব্দুর রউফ, মো. আওলাদ হোসেন মিয়া, কাজী বজলুর রহমান, আবুল কাশেম হাওলাদার, মো. আব্দুল হাননান, মো. রুহুল আমিন, এম সানাউল হক, মো. নুরুল আনোয়ার, এ কে এম শহীদুল হক, মো. মমিনউল্লাহ পাটওয়ারী (সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ও সচিব) এবং মুহ. আব্দুল হাননান খান (আইজিপির মর্যাদাপ্রাপ্ত সমন্বয়ক)।

সাবেক ১৯ অতিরিক্ত আইজিপি হলেন- মো. সরওয়ার হোসেন, মোহাম্মদ আবদুস সাত্তার, মোহাম্মদ আবদুর রহিম খান, মো. নুরুল আলম, মো. আলী ইমাম চৌধুরী, মো. ফজলুল হক, মো. আব্দুর রহিম, খন্দকার মোজাম্মেল হক, গোলাম মোস্তফা, মো. লুতফর রহমান মিয়া, মো. মতিউর রহমান, মো. আব্দুল মান্নান, মো. আব্দুল মাবুদ, আমূল্য ভূষণ বড়ুয়া, মো. নাজমুল হক, ফাতেমা বেগম, বিনয় কৃষ্ণ বালা, নওশের আলী ও আবু হানিফ।

সাবেক ২৪ ডিআইজি হলেন- দেওয়ান হাবিবুল্লাহ, মো. সফিক উল্লাহ, খন্দকার সাহেব আলী, কাজী নজরুল ইসলাম, মো. মোখলেসুর রহমান, শাহ আলম সিকদার, পি আর বড়ুয়া, মো. তোফাজ্জল হোসেন, মো. ওয়ালিউর রহমান, নিরাবরণ কুমার চন্দ, মোস্তফা জামাল উদ্দিন আল আজাদ, কাজী আনোয়ার হোসেন, মো. আলতাফ হোসেন মোল্লা, চৌধুরী আহসানুল কবীর, মো. সাজ্জাদ হোসেন, মোস্তাক হোসেন খান, সফিকুর রহমান, মকবুল হোসেন ভূঁইয়া, মো. ওবায়দুল্লাহ, ড. মোহাম্মদ আবদুল রহিম, এসএম মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান ও মনিরুজ্জামান। তথ্য-ইউএনবি

আজকের বাজার/এমএইচ