পুৃঁজিবাজারের ১২ কোম্পানি ও ছয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে বিএসইসি

শেয়ার কারসাজির অভিযোগে পুৃঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ১২টি কোম্পানি ও ছয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে বিএসইসি। বৃহস্পতিবার বিএসইসির ৬৯৬তম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিএসইসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১২টি কোম্পানির শেয়ারের মূল্য বাড়াতে সংশ্লিষ্ট একাধিক কোম্পানির মূল্য সংবেদনশীল তথ্য আগাম সংগ্রহ করে তার ভিত্তিতে লেনদেন সহ নানা অসাধু পন্থা ব্যবহার করায় তাদের শাস্তির আয়োতায় আনার সিদ্ধান্ত রিয়েছে বিএসইসি। কারসাজি করেছেন ৬ অসাধু বিনিয়োগকারী। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) এক তদন্তে এই কারসাজির বিষয় উঠে আসে।

কমিশনের বৈঠকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রতিবেদনটি বিএসইসির এনফোর্সমেন্ট বিভাগে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা পাশাপাশি আলোচিত বিনিয়োেগকারীদের একাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন ও স্থানান্তর এবং লিংক একাউন্টের মাধ্যমে শেয়ার অন্য প্রতিষ্ঠানে সরিয়ে নেওয়ার সুযোগের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে বিএসইসি। তবে তারা নিজ নিউ একাউন্টে শেয়ার কেনাবেচা করতে পারবেন।

যে প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার কারসাজি হয়েছে: ইউনাইটেড পাওয়ার, ভিএসএফ থ্রেড, আইপিডিসি ফাইন্যান্স, এস এস স্টিল, ইনটেক লিমিটেড, সায়হাম টেক্সটাইল, সায়হাম কটন, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, মুন্নু সিরামিকস, মুন্নু জুট স্টাফলার, আইসিবি ও ডাচ বাংলা ব্যাংক

যারা কারসাজিতে অভিযুক্ত: বিশ্বজিত দাস ও তার স্ত্রী, কাজী মোঃ শাহাদাত হোসেন ও তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বি অ্যান্ড বিএস ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, মোঃ সাইফুল্লাহ, হোসাম মোঃ সিরাজ, এ এস এস আহসান হাবিব চৌধুরী, লুৎফুল গনি টিটু ও তার স্ত্রী এবং তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান সাত রং এগ্রো ফিশারিজ লিমিটেড।

আজকের বাজার/মিথিলা