পূর্বাচলে ৮০ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে: গৃহায়ণমন্ত্রী

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা,এসডিজি বাস্তবায়নে ২০২১ সালের মধ্যে বস্তিবাসী ও নিম্ন আয়ের মানুষসহ সবার জন্য পূর্বাচল আবাসিক এলাকায় ৮০ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেছেন, সরকার এসডিজি বাস্তবায়নে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য শক্ত ও মজবুত বাড়ি নির্মাণ করবে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভূমির যথাযথ ব্যবহার করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে। খবর বাসসের।

২ অক্টোবর সোমবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ববসতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, সরকার ইতোমধ্যে উত্তরা এলাকায় জমির পরিবর্তে ফ্ল্যাট নির্মাণ করে বরাদ্দ দেয়া শুরু করেছে। ঝিলমিল ও পূর্বাচল প্রকল্পে ৮০ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ শিগগিরই শুরু করার জন্য প্রক্রিয়া চলছে। গ্রামের মানুষও যাতে আধুনিক টিকসই আবাসন গড়ে তুলতে পারে সেই লক্ষ্যে সরকার বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশের জনসংখ্যার তুলনায় জমির পরিমাণ কম হওয়ায় গ্রামেও বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।

গৃহায়ণমন্ত্রী বলেন, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণ করছে। উত্তরা তৃতীয় পর্ব, পূর্বাচল ও ঝিলমিল আবাসিক এলাকায় প্রায় এক লাখ ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব ফ্ল্যাট গ্রহণযোগ্য মূল্যে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিক্রি করা হবে। সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে কম সূদে ঋণ দেয়া পদক্ষেপ নিতে হবে বলে জানান তিনি।

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন ইউএনডিপি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জী, রাজউকের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান, স্থপতি অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম হাসিব, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম ও গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আখতার হোসেন। অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ পাঠ করেন জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান খন্দকার আখতারুজ্জামান।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে ২ অক্টোবর ২০১৭