পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১৬ হাজার করার দাবি

পোশাক শিল্পে কর্মরত প্রায় ৪০ লক্ষ শ্রমিক কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছে। তারা সকাল ৬ টা থেকে শুরু করে রাত ১২ টা পর্যন্ত কাজ করে। যা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। কিন্তু কাজ অনুযায়ী তাদের মজুরি খুবই কম।

২০১৩ সালে পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৫ হাজার ৩ শত টাকা নির্ধারণ করা হয়। কিন্ত বর্তমানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় আগের বেতনে জীবিকা নির্বাহ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

২৫ টি সংগঠনের পক্ষ থেকে পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১৬ হাজার টাকা করার দাবি জানিয়েছে ‘গার্মেন্টস শ্রমিক মজুরী আন্দোলন’। আগামী ৬ মাসের মধ্যে মজুরী ঘোষণা করে তা বাস্তবায়ন করার আহ্বানও জানায় সংগঠনটি।

বৃহস্পতিবার ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সরকার ও মজুরি বোর্ডের কাছে এই দাবি জানায় গার্মেন্টস শ্রমিক মজুরী আন্দোলন নামক সংগঠনটি।

গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারি লীগের সভাপতি লিমা ফেরদৌস বলেন, ২০১৩ সালে যে মজুরি বোর্ড গঠন করা হয়েছিল সেটা সে সময়ের জন্য উপযোগী ছিল। কারণ তখন খাদ্য ভাতা ৬৫০ টাকা, বাড়ী ভাড়া ১২০০ টাকা, যাতায়াত ভাড়া ২৫০ টাকা, মেডিকেল ২০০ টাকা এবং বেসিক বেতন ৩০০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু সেই সময়ের তুলনায় বর্তমান সময়ের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েছে কয়েকগুণ। তাই বর্তমান বেতন কাঠামো নিয়ে দুর্বিসহ জীবনযাপন করছে হাজার হাজার শ্রমিক।

পোশাক শ্রমিকদের কষ্ট লাঘব করতে ন্যূনতম মজুরি ১৬ হাজার টাকা, আগামী ৬ মাসের মধ্যে মজুরি ঘোষণা ও বাস্তবায়ন করা এবং সেক্টরের শ্রমিক প্রতিনিধিকে মজুরী বোর্ডের সদস্য পদ দেওয়ার দাবি জানান লিমা ফেরদৌস।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, জাগো বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. বাহারানে সুলতান বাহার, বাংলাদেশ গার্মন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি জাহানারা বেগম, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক জোট বাংলাদেশের সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন সহিদ প্রমুখ।

আজকের বাজার:এলকে/ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮