প্রথম ইনিংসে লজ্জাজনক ভাবে ১৫০ রানে অলআউট বাংলাদেশ

ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের লজ্জাজনক স্কোরের জন্য দায়ী কে? মুমিনুল না মুশফিক-দুজনেই তো ক্রিজে জমে গিয়ে বোকার মতো আউট হলেন। দলের এ দুই তারকা সম্ভাবনা দেখালেও দলকে বিপদে ঠেলে দেন। ৩১ রানে তিন উইকেট পড়ার পর মুশফিক-মুমিনুলের ব্যাটে ভর করে লড়াইয়ের স্বপ্ন দেখে টাইগার শিবির।

তবে ৩৭ রানে বোল্ড হন টাইগার অধিনায়ক। অশ্বিনের বল বুঝতেই পারেননি তিনি, ব্যাট পেতে দিলেই বাঁচতে পারতেন, কিন্তু ছেড়ে দিলেন তিনি। ৩৬ টেস্টে নেমে দলের নেতৃত্ব ছিল তারই কাঁধে কিন্তু কি করলেন। টাইগার ভক্ত তো দূরের কথা, যে কোনো ক্রিকেট দর্শকের কাছেও বেমানান ঠেকল এমন লজ্জাকর আউটে। মনে পড়ে গেল হাথুরেসংহের কথা, অফস্পিন নাকি খেলতে পারেন না মুমিনুল। তারই প্রমাণ দিলেন বুঝি এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান অশ্বিনের নির্বিষ এক ডেলিভারিতে।

এরপর চা বিরতির ঠিক আগের দুই ও বল ও তৃতীয় সেশনের প্রথম বলে আরও তিন উইকেটের পতন। পেসার মোহাম্মদ শামির হ্যাটট্রিক না হলেও ভারতের হ্যাটট্রিক হলো। কারণ টানা তিন বলে টাইগারদের হয়ে একে একে ফিরে যান মুশফিক, মিরাজ ও লিটন। ৪৩ রান করে শামির বলে বোল্ড হন মুশফিক। মিরাজ শূন্যতে ও লিটন আউট ২১ রানে।

মাত্র ৪১ রানের ব্যবধানে পাঁচ উইকেট পড়ে সফরকারীদের। এটাই ব্যাকফুটে ফেলে দেয় বাংলাদেশকে। শেষ পর্যন্ত মাত্র ১৫০ রানে অলআউট হয় মুশফিকরা। টিম ইন্ডিয়ার বিপক্ষে এটি বাংলাদেশের চতুর্থ সর্বনিম্ন স্কোর। সবশেষ ২০০৪ সালে ভারতের কাছে ১২৪ রানে অলআউটের পর এমন বাজে ইনিংস খেলেছে বাংলাদেশ। ভারতের পক্ষে মোহাম্মদ শামি ৩টি ও অশ্বিন ও ইশান্ত শর্মা ও উমেশ যাদব নেন দুটি করে উইকেট।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ১২ রানে দুই ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ। সাদমান ও ইমরুল দুজনেই আউট ছয় রানে। এরপর ওয়ানডাউনে নামা মিঠুন আউট ১৩ রানে। দলের অভিজ্ঞ তারকা মাহমুদউল্লাহ বাজে শট খেলতে গিয়ে আউট ১০ রানে।