প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগ, শেরপুরে ৪৫২টি প্রতিষ্ঠানের সোলার লাইট বরাদ্দ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগ ২০২০ সালের মধ্যে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ কর্মসূচির আওতায় এবার শেরপুর জেলায় ৪৫২টি প্রতিষ্ঠান পাচ্ছে সোলার লাইট।ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের অধীনে টিআর ও কাবিটার আওতায় ওইসব প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ১৩ কোটি ৮ লাখ ৮৭ হাজার ৩৫৩ টাকা। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাট-বাজারসহ ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের বৈদ্যুতিক সমস্যা দূর হবে। আলোকিত হবে ওইসব প্রতিষ্ঠান। খবর বাসস।

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগের আওতায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে শেরপুর জেলায় ৬ কোটি ৭৪ লাখ ৪৭ হাজার ১৫৬ টাকার কাবিটা ও ৫ কোটি ৩৫ লাখ ৫৯ হাজার ৮০৩ টাকার টিআরসহ মোট ১৩ কোটি ৮ লাখ ৮৭ হাজার ৩৫৩ টাকা বরাদ্দ দেয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়।

ওই বরাদ্দের প্রেক্ষিতে জেলার ৫টি উপজেলার ৩টি নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্যগণসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাঝে উপ-বরাদ্দমূলে টিআর কর্মসূচির আওতায় ৩২৮টি ও কাবিটা কর্মসূচির আওতায় ১২৪টিসহ মোট ৪৫২টি প্রতিষ্ঠানে সোলার বিতরণে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।

প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামীণ হাট-বাজার, মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা, মন্দির ও স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান। এছাড়া কিছু সোলার হতদরিদ্রদের মাঝেও দেওয়া হচ্ছে- যাদের ঘরে বিদ্যুৎ নেই। একেকটি প্রতিষ্ঠানের জন্য অবস্থাভেদে প্রতিটি সোলার ১৭ হাজার ৫শ টাকা থেকে ৪৯ হাজার টাকা পর্যন্ত বরাদ্দ রয়েছে।

মন্ত্রণালয় নির্ধারিত ইডকল কোম্পানীর মাধ্যমে সোলারগুলো ক্রয় করতে হচ্ছে এবং তারাই প্রতিষ্ঠানের সংযোগসহ কাজের তদারকি করছে। পরবর্তী ৩ বছরের জন্য ওই প্রতিষ্ঠানের তরফ থেকে ফ্রি সার্ভিস দেওয়া হবে। এজন্য ক্রয়মূল্যের ১০ ভাগ ওই সময়সীমা পর্যন্ত জামানত হিসেবে রাখা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এএইচএম আব্দুর রউফ বাসসকে জানান, প্রধানমন্ত্রীর ২০২০ সালের মধ্যে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সোলার লাইট দেওয়া হচ্ছে।

আজকের বাজার/লুৎফর