প্রযুক্তির ব্যবহার নেই ৮০ শতাংশ পোষাক কারখানায়: সিপিডি

দেশের ২০ শতাংশ গার্মেন্টস শিল্প কারখানায় প্রযুক্তির ব্যবহার নেই বললেই চলে। তাছাড়া বর্তমানে পোশাক শিল্পখাতে চলছে পরিবারতন্ত্রের দাপট। এ খাতটির পরিচালনায় শতকরা ৮৯ শতাংশই পরিবারতন্ত্রের দখলে বলে জানিয়েছে গবেষনা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)।

শনিবার রাজধানীর গুলশানে পোশাক খাতের উন্নয়ন নিয়ে করা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এসব তথ্য জানান। প্রতিবেদন পাঠ করেন সিপিডির গবেষণা শাখার পরিচালক ড. গোলাম মোয়াজ্জিম।  প্রতিবেদনে পোশাক শিল্পের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়।

প্রতিবেদন অনুসারে, বর্তমানে আমাদের অসংখ্য গার্মেন্টস কারখানার কর্ম পরিবেশের মান বেড়েছে, প্রযুক্তিও ব্যবহার হচ্ছে। এগুলো পোশাকখাতের সামাজিক অগ্রগতি। অপরদিকে শ্রমিক নিয়োগের হার কমেছে, প্রবৃদ্ধি হার তুলনামূলক কমেছে এগুলো অর্থনৈতিক অনগ্রসরতার উদাহরণ। তবে মোট শিল্পকারখানার ৮০ শতাংশে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার নেই বললেই চলে। তাছাড়া পোশাক খাতে পরিচালনা পর্ষদগুলোতে পরিবারতন্ত্র ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এ  খাতের ৮৯ শতাংশ বোর্ডই পরিবারতন্ত্র ।

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, রানা প্লাজা ধসের পর পোশাকখাতের সামাজিকভাবে অগ্রগতি হয়েছে। ২০ শতাংশ পোশাক কারখানায় উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে । বিদেশি বিনিয়োগ থেমে থাকেনি। কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে অগ্রগতি হয়নি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পোশাক খাতে কর্মসংস্থান কমেছে।  ২০০৫-২০১২ সাল পর্যন্ত কর্মসংস্থান কমার হার ছিল ৪ শতাংশ। ২০১২ থেকে ১৬ সাল পর্যন্ত কর্মসংস্থান কমার হার ৩ শতাংশ। রয়েছে পুরুষ-নারীদের মধ্যে মজুরি বৈষম্য । পুরুষদের গড় বেতন ৭ হাজার ২৭০ টাকা আর নারীদের গড় বেতন ৭ হাজার ৫৮ টাকা।

অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইসরাফিল আলম, সিপিডির চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান, কারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শক অধিদফতরের মহাপরিদর্শক শামসুজ্জামান ভূঁইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এমআর/