বছর জুড়ে শিক্ষা খাত

প্রশ্নপত্র ফাঁস: বাধাগ্রস্ত হয় মেধা বিকাশ

সারা বছর জুড়েই শিক্ষা খাতের আলোচনায় ছিলো প্রশ্ন ফাঁস। এ খাতে কেলেঙ্কারি আর বিশৃঙ্খলা লেগেই আছে। প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে অস্থিরতা যেন পিছু ছাড়ছে না কিছুতেই। শিক্ষার মান নিয়ে দীর্ঘ সমালোচনা আর বিতর্কের সঙ্গে সর্বশেষ যুক্ত হয়েছে প্রাক-প্রাথমিকর পাঠ্য বইয়ের ওড়না বিতর্ক। যা একই সঙ্গে শিক্ষা ব্যবস্থায় সাম্প্রদায়িক ও অবহেলার বার্তা দিচ্ছে।

বিতর্ক অব্যাহত রয়েছে সৃজনশীল পদ্ধতি নিয়ে। অপর দিকে সমাপনী এবং জেএসসি/জেডিসি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভীতি আর অস্থিরতা কাটছে না কোনো অবস্থাতেই। ঘনঘন পাবলিক পরীক্ষা ও কোচিং প্রাইভেট নৈরাজ্যে অতিষ্ঠ অভিভাবকরা। সমাপনী ও জেএসসি/জেডিসি পরীক্ষা শুরুর পর এ নিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া ভীতি আর অস্থিরতার মধ্যে শুরু হয় একের পর এক প্রশ্ন ফাঁসের উৎসব। প্রশ্ন ফাঁস ভেঙে দেয় জাতির মেরুদন্ড। মেধাবী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে তীব্র ক্ষোভ আর হতাশা।

বিদায়ী বছর প্রাথমিক সমাপনী থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। আর নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের চিত্র ছিলো ভয়াবহ। বিশেষ করে ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস মেধাবী শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের হতাশ করছে বারবার। বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস ছিলো বছরের আলোচিত বিষয়। সচেতন মহল থেকে শুরু করে নীতি নির্ধারনী পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হলেও সমস্যা থেকে উত্তরণ মেলেনি।

এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রায় প্রতিটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসসহ জালিয়াতি ছিলো টক অব দ্য ইয়ার। ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস এবং জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতরা ধরা পড়লেও এখনো অধরা থেকে গেছে এর মূল হোতারা।

বিগত সময়ে প্রাথমিক সমাপনী থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষা এবং নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হলেও প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির প্রশ্ন ফাঁস এবারই প্রথম। অবিশ্বাস্য হলেও এ বছর প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণির প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি গণমাধ্যমে শিরোনাম হয়েছে।

মেডিকেল ও ডেন্টালে প্রশ্ন ফাঁস চক্রের হোতা হিসেবে উঠে এসেছে সরকারের সহকারী কর কমিশনার দিপঙ্কর চন্দ্র সরকারের নাম। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের এই কর্মকর্তা বিগত কয়েক বছর ধরে সহযোগীদের নিয়ে মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করে আসছেন। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তার অফিস থেকেই জব্দ করেছে ১ কোটি ৭ লাখ টাকার চেক। আর সহযোগীদের কাছ থেকে জব্দ করেছে ৩ কোটি ৫০ লাখ ২৫ হাজার টাকার চেক।

আর কোচিৎ বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত থাকায় রাজধানীর ৮ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৯৭ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ‘শাস্তিমূলক’ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সকল পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণার পূর্বেই তা প্রকাশ হওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে এ বছরের। ঘটনাটি চট্টগামের। গণমাধ্যমে প্রকাশ নগরীর ঐতিহ্যবাহী কলেজিয়েট স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হওয়ার পূর্বেই একটি কোচিং সেন্টার ফেসবুকে ফল প্রকাশ করে দেয়। বছর শেষে রাজধানীর ৬টি কোচিং সেন্টারের ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণায় দুর্বলতা
দেশে দিন দিন সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়লেও সে তুলনায় বাড়েনি গবেষণা। বিশ্ববিদ্যালগুলোতে শিক্ষক নিয়োগে মেধার প্রাধান্য না দেওয়ায় নতুন জ্ঞান সৃষ্টি হচ্ছেনা বলে মনে করেন শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা। বিশ্ববিদ্যাগুলোতে শিক্ষকও রয়েছের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক। কিন্তু শিক্ষকের তুলনায় বাড়েনি গবেষণা। শিক্ষকদের গবেষণা কর্মের সংখ্যা অনেক কম। যে সব গবেষণা রয়েছে এর বেশিরভাগই মানসম্মত নয় বলে অভিযোগ রয়েছে। আর এমন অভিযোগ তুলেছে খোদ বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

বিষয়টি সমর্থন করছেন দেশের প্রথিতযশা শিক্ষাবিদরাও। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা বলছেন, উচ্চশিক্ষার গবেষণায় পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ না দেওয়ার কারণেই গবেষণায় আগ্রহ হারাচ্ছেন শিক্ষকরা। গবেষণায় ব্যয় হওয়া মোট খরচের অর্ধেকও না পাওয়ায় তাদের কাজেও ব্যাঘাত ঘটছে। ফলে মানসম্মত গবেষণা সম্ভব হচ্ছে না। গবেষণার জন্য বছরে যে বরাদ্দ দেওয়া হয় তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।

২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরের গবেষণার জন্য মাত্র ৯ কোটি টাকা এবং সর্বশেষ চলতি অর্থ বছরে ২০১৭-২০১৮ তে গবেষণার জন্য মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১২ কোটি টাকা। অন্যদিকে, গবেষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে সরকারী বরাদ্দ ছিল ৩ কোটি, ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে ছিল সাড়ে ৩ কোটি টাকা এবং ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে বরাদ্দ রাখা হয়েছে মাত্র সাড়ে ৪ কোটি টাকা।

২০১৭ শিক্ষা বর্ষে দেশের প্রায় সকল বিশ^বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য বিশেষ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। জঙ্গিবাদ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রাথমিক পর্যায় থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সভা-সেমিনার করা হয়েছে।

শিক্ষা নিয়ে কিছু প্রকল্প
২০১৬ শিক্ষাবর্ষে প্রাক-প্রথমিক স্তরে ৫টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির (চাকমা, মারমা, গারো, মাদ্রি ও ত্রিপুরা) জন্য সর্বমোট ৭৭২৮২টি পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ করা হয়েছে। ২০১৭ শিক্ষাবর্ষে দৃষ্টি প্রতিবন্ধিদের জন্য প্রথমবারের মতো ৯৭০৩ কপি ব্রেইল পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া প্রতি বছরের ন্যায় ২০১৭ সালেও ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হয়।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি, ঝরে পড়া রোধ, শিক্ষার প্রসার, বাল্যবিবাহ রোধ, নারীর ক্ষমতায়ন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মেয়েদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধিসহ শিক্ষাক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা সাম্য বিধানের লক্ষে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে গত ২০০৯-২০১০ অর্থবছর থেকে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছর পর্যন্ত সময়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায় পর্যন্ত মোট প্রায় ২ কোটি ৫৫ লক্ষ ৩৪ হাজার ১৫১ জন শিক্ষার্থীর (ছাত্র-৬৯৯৪০৯২, ছাত্রী-১৮৫৪০০৫৯) মধ্যে ৪৬১৫.৫৪ (৪ হাজার ৬ শত ১৫ কোটি ৫ লাখ টাকা উপবৃত্তিসহ আর্থিক সহায়তা হিসাবে প্রদান করা হয়েছে। মাধ্যমিক শিক্ষা উপবৃত্তি-২য় পর্যায় এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা উপবৃত্তি প্রকল্প এর আওতায় প্রদত্ত উপবৃত্তি এখন অনলাইনে প্রদান করা হচ্ছে। এ ছাড়াও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মেধাবৃত্তির আওতায় ২০০৯-২০১০ অর্থবছর থেকে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে ১২ লক্ষ ৬৭ হাজার ৪২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৯৮৪ কোটি ৪১ লক্ষ ১১ হাজার ৮০০) টাকা প্রদান করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের উদ্যোগে বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, কলেজ এবং স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ে দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিশ্চিতকরণে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে সর্বমোট ৩২৯ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ৮ লক্ষ ২৬ হাজার টাকার আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে।

দুর্ঘটনার কারণে গুরুতর আহত দরিদ্র মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীর এককালীন অনুদান প্রদান সংক্রান্ত নীতিমালা, ২০১৫ প্রণয়ন করা হয়েছে এবং এ কার্যক্রমের আওতায় ২০১৪-২০১৫,২০১৫-২০১৬ এবং ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে গুরুতর আহত দরিদ্র মেধাবী সর্বমোট ১৭ জন শিক্ষার্থীকে ৩ লক্ষ ১০ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান হিসাবে দেওয়া হয়েছে।

দেশের শিক্ষা ব্যববস্থা আধুনিকায়ন করার জন্য ২০১৭ সালে নানা প্রকল্প পরিচালনা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে প্রযুক্তির সমন্বয়ে শিক্ষা এবং কারিগরি শিক্ষার উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা প্রতিশ্ঠানগুলোতে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম প্রতিষ্ঠার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

আইসিটি দক্ষতা বাড়াতে প্রকল্প
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আই.সি.টি. ব্যবহারে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং শ্রেণিকক্ষে পাঠদান প্রক্রিয়াকে যুগোপযোগী করার লক্ষে “আই.সি.টি.’র মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার প্রচলন প্রকল্প (পর্যায়-২)” শীর্ষক প্রকল্পটি ২০১৭ সালেই একনেক অনুমোদন দেয়। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ৩১ হাজার ৩৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (২৬,০০০টি বিদ্যুৎ সংযোগ সম্পন্ন ও ৫,৩৪০টি বিদ্যুৎবিহীন) মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম প্রতিষ্ঠা করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে ল্যাপটপ, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, স্পিকার, মডেম সরবরাহ করা হবে। একই সঙ্গে মাল্টিমিডিয়া এবং আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর ক্লাস পরিচালনার জন্য বিভিন্ন বিষয়ে পর্যায়ক্রমে ৫ লক্ষ ২০ হাজার ৮২০ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ভবিষ্যতে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তথ্য প্রযুক্তি ও মাল্টিমিডিয়ার ব্যবহার সম্প্রসারিত করা হবে।

বয়ঃসন্ধিবান্ধব সেবা
১০-১৯ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বয়ঃসন্ধিকাল বান্ধব সেবা প্রদান ও লিঙ্গ সমতাভিত্তিক আচরণ এবং পারম্পরিক সম্মানবোধ তৈরির সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ঢাকা মহানগরী, বরিশাল, বরগুনা এবং পটুয়াখালী জেলার ৩০০টি স্কুলও ৫০টি মাদ্রাসার ১ হাজার ৪০০ জন শিক্ষককে ‘জেন্ডার ইক্যুইটি মুভমেন্ট ইন স্কুল’ (ইজিএমএম) বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বয়ঃসন্ধিকালের বিভিন্ন বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা তৈরি হবে। ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে ৯৮ হাজার আই.সি.টি প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে ।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র সংসদ নির্বাচন
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিয়মিত শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের নির্বাচন হলেও দীর্ঘদিন ধরেই হয় না ছাত্র সংসদ নির্বাচন। বছরের শেষ সময়ে এসে আলোচনায় ছিল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি। বিশেষ করে ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে নানা কর্মসূচি পালনে করেছে শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের দাবিতে সান্ধ্য কোর্সের শিক্ষার্থী ওয়ালিদ আশরাফের ১৪ দিনের অনশন কর্মসূচি ভাবিয়ে তুলেছে নীতি নির্ধারকদের।

 

বছর শেষে প্রাথমিক শিক্ষকদের অনশন
ভালোমন্দ মিলিয়ে বছর প্রায় শেষ-ই হয়ে যাচ্ছিলো। তবে বছরের অন্তিমে এসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আমরণ অনশন কর্মসূচি শিক্ষা ক্ষেত্রের নেতিবাচক দিকই তুলে ধরেছে। সর্বশেষ এমপিওভুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নন-এমপিও শিক্ষকদের আন্দোলন ভাবিয়ে তুলেছে আরও এক বার।

আজকের বাজার : আরএম/ ডিএইচ/ওএফ/এলকে ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭