কোচিং এ্যাসোসিয়েশনের সংবাদ সম্মেলন

প্রশ্ন ফাঁসকারীদের বিচার ও কোচিং সেন্টার খুলে দেওয়ার দাবি

আসন্ন মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে সারাদেশের কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অবিলম্বে বন্ধ এসব কোচিং সেন্টার খুলে দিতে এবং প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার ৩০ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ দাবি জানায় সারাদেশের একাডেমিক কোচিং সেন্টারের মালিকদের সংগঠন ‘কোচিং এ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ।’

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রীর কাছে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন রাখা হয়। জানতে চাওয়া হয় প্রশ্নপত্র প্রণেতা কারা? প্রশ্নপত্র কোথায় ছাপা হয়, কাদের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র কেন্দ্রে পৌঁছানো হয়, ছবি তুলে কারা এই প্রশ্ন ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড দেয় এবং কেন্দ্রের দায়িত্বশীল কারা?

এ সকল কাজের সঙ্গে যেহেতু কোচিং সেন্টারের কোন শিক্ষক জড়িত নয় তাহলে কোচিং সেন্টারগুলো পরীক্ষার সময় কেন বন্ধ রাখা হবে তাও জানতে চাওয়া হয়।

কোচিং সেন্টার বন্ধের ঘোষণা প্রত্যাহারসহ এ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে বেশ কিছু দাবি জানানো হয়। এগুলো হলো, কোচিংয়ের স্বীকৃতি ও বৈধ নীতিমালা দিতে হবে, কোচিংয়ের উপর থেকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট কমিয়ে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ করতে হবে এবং কোচিং পরিচালিত ভাড়া করা বাসা বা বাড়ির উপর অর্পিত ভ্যাট প্রদান বন্ধ করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, কোচিং এ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের আহ্বায়ক ও ই. হক কোচিংয়ের পরিচালক মো. ইমাদুল হক।

তিনি বলেন, সারা দেশে কোচিং সেন্টারের সঙ্গে ১০ থেকে ১৫ লাখ শিক্ষিত বেকার জড়িত। কোচিং সেন্টার বন্ধ হলে এই বিশাল জনগোষ্ঠী বেকার হয়ে পড়বে। তাই অবিলম্বে কোচিং সেন্টার খুলে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

কোচিং সেন্টারকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের আখড়া ঘোষণা দেওয়ায় শিক্ষা মন্ত্রীর সমালোচনা করে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়,  বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার শেষে সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষামন্ত্রী নিজেই বলেছেন প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। অথচ তিনি কোচিং সেন্টারকেই দায়ি করছেন। আমরা এ অভিযোগের তীব্র নিন্দা জানাই। একই সঙ্গে দোষীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। আমরাও চাই সুষ্ঠ ও নকলমুক্ত পরীক্ষা। যার মাধ্যমে গড়ে উঠবে শিক্ষিত ও যোগ্য নাগরিক। যারা হবে দেশের সম্পদ।  যারা আগামী দিনে সোনার বাংলা গঠনে ভূমিকা রাখবে।

সংবাদ সম্মেলন থেকে পরবর্তী কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, দাবি আদায়ের জন্য আগামীকাল ৩১ জানুয়ারি ঢাকাসহ সারা দেশের সকল জেলা ও উপজেলার প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধ এবং প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, কোচিং এ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের যুগ্ম আহ্বায়ক পলাশ সরকার, মো. আবু রায়হান, কে. এম, নূরুল্লাহ হাসান, মাহবুব আরেফিন, কবির, মো. আকমাল হোসেন প্রমুখ।

উল্লেখ্য গত শনিবার ২৭ জানুয়ারি সংগঠনটি ৭ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠনের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করে।

আজকের বাজার : আরএম/এলকে ৩০ জানুয়ারি ২০১৮