‘প্রাথমিকের শিক্ষকদের সন্তানরা কিন্ডারগার্টেনে পড়তে পারবে না’

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেছেন, প্রাথমিক শিক্ষার মান এমনভাবে উন্নত করা হবে যাতে কিন্ডারগার্টেনের শিশুরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসতে শুরু করবে। অন্যদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আকরাম আল হোসেন জানিয়েছেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সন্তানরা কিন্ডারগার্টেনে পড়তে পারবে না।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ঢাকা জেলার সাভার, ধামরাই, দোহার ও নবাবগঞ্জের শিক্ষা কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী ও সচিব।

প্রতিমন্ত্রী জাকির জানান, দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের সাথে সহকারী শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূর করা হবে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে পাঠদানের সূচি একরকম হবে বলেও জানান তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মানসম্মত শিক্ষার জন্য সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।’ এসময় তিনি সব বিদ্যালয়ে স্কাউট গঠনের নির্দেশ দেন।

জাকির হোসেন আরও জানান, প্রাথমিকের শিক্ষকরা অবসরে যাওয়ার দুই মাসের মধ্যে যেন পেনশনের টাকা পান সরকার সেই ব্যবস্থা নিচ্ছে।

প্রাথমিকে পড়া শিশুরা কিন্ডারগার্টেনের দিকে ধাবিত হচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রাথমিক শিক্ষার মান এমনভাবে উন্নত করতে চাই যাতে করে কিন্ডারগার্টেন থেকে শিশুরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসতে শুরু করবে।

‘কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোতে শিক্ষকদের খুবই কম বেতন দেয়া হয়। সে তুলনায় প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষকদের বেতন অনেক বেশি। কিন্তু শিক্ষার মান কম। এটা মেনে নেয়া যায় না,’ যোগ করেন তিনি।

শিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা হারাম খাব না। বেতন নেব অথচ শ্রম দেব না, তা হয় না। প্রত্যেক শিক্ষককে সকাল ৯টায় বিদ্যালয়ে আসতে হবে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে সুসম্পর্ক গড়তে হবে। শিক্ষার মান সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব সবার। আমরা একই পরিবারের সদস্য। আপনাদের যেকোনো সমস্যা আমাকে জানাবেন।’

এসময় সচিব আকরাম জানান, দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে একই পাঠ পরিকল্পনা চালু করার উদ্যোগ নেয়া হবে। এতে একই সময়ে সব বিদ্যালয়ে একই পাঠদান হবে। সপ্তাহে কোনদিন কোন বিষয়ে কতটুকু পড়ানো হবে তা নির্ধারণ করে দেয়া হবে। জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির (নায়েম) মাধ্যমে পাঠ পরিকল্পনার খসড়া তৈরি করা হচ্ছে। তা চূড়ান্ত করে সব বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে দেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সন্তানরা কিন্ডারগার্টেনে পড়তে পারবে না। এতে শিক্ষকরা প্রাথমিকে শিক্ষার মান বাড়াতে উদ্যোগী হবেন।’

তথ্য-ইউএনবি

আজকের বাজার/এমএইচ