ফাইনালে ভারতের কাছে ৫ রানে হারলো বাংলাদেশের যুবারা

ইতিহাস গড়ার মঞ্চ প্রস্তুত ছিল বাংলাদেশ-১৯ অনূর্ধ্ব দলের জন্য। বোলাররা ভারতকে অল্প রানে গুটিয়ে দিয়ে কাজটা সহজ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু ব্যাটসম্যানরা তাদের কাজটা ঠিকঠাক করতে পারলেন না। প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের শিরোপা জয়ের হাতছোঁয়া দূরত্বে গিয়েও খালি হাতে ফিরতে হলো যুবাদের। রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে বাংলাদেশকে ৫ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শনিবার আগে ব্যাট করতে নেমে ভারত ৩২.৪ ওভারে ১০৬ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল। প্রথমবার ফাইনালে ওঠা বাংলাদেশ ৩৩ ওভারে থামে ১০১ রানে। এই নিয়ে সপ্তমবারের মতো যুব এশিয়া কাপের শিরোপা জিতল ভারত।

ছোট লক্ষ্য তাড়ায় ১৬ রানে ৪ ও ৭৮ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে অনেকটা ছিটকে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে নবম উইকেটে দারুণ এক জুটিতে দলকে জয়ের আশা দেখাচ্ছিলেন তানজিম হাসান সাকিব ও রকিবুল হাসান।

কিন্তু জয় থেকে ৬ রান দূরে থাকতে আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে আউট হন তানজিম। বাঁহাতি স্পিনার আনকোলেকারের বলে তাকে এলবিডব্লিউ দিয়েছিলেন আম্পায়ার। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, প্যাডে লাগার আগে বল তানজিমের ব্যাটে লেগেছিল। দুই বল পর শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে বোল্ড হন শাহিন আলম।

ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল প্রথম ওভারেই তানজিদ হাসানকে হারিয়ে। আকাশ সিংয়ের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। পরের ওভারে ফেরেন আরেক ওপেনার পারভেজ হাসান ইমনও।

তৌহিদ হৃদয় আর মাহমুদুল হাসান জয়ও টেকেননি বেশিক্ষণ। এই দুজনও আকাশ সিংয়ের শিকার। তখন ১৬ রানেই নেই ৪ উইকেট।

পঞ্চম উইকেটে শাহাদাত হোসেনকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন অধিনায়ক আকবর আলী। ৩০ বলে ৩ রান করে শাহাদাত ফিরলে ভাঙে ২৪ রানের এ জুটি।

মাঝে শামীম হোসেন ফিরলেও আকবর লড়ে যাচ্ছিলেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীকে সঙ্গে নিয়ে। কিন্তু স্কোর ৭৮ রেখে তিন বলের মধ্যে ফেরেন দুজনই। আনকোলেকারকে ফিরতি ক্যাচ দেওয়ার আগে ৩৬ বলে ২৩ রান করেন আকবর। মৃত্যুঞ্জয় করেন ২৬ বলে ২১।

এরপর নবম উইকেটে তানজিম ও রকিবুলের ২৩ রানের সেই জুটি। যাতে জয়ের আশা জেগেছিল আবার। কিন্তু আম্পায়ারের একটি ভুল সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের আশাও শেষ হয়ে যায়। তানজিম ৩৫ বলে ১২, রকিবুল ৩৪ বলে ১১ রানে অপরাজিত ছিলেন।

এর আগে বাংলাদেশের দারুণ বোলিংয়ে ৮ রানেই টপ অর্ডার তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়েছিল ভারত। চতুর্থ উইকেট জুটিতে অধিনায়ক জুরেল ও রাওয়াত যোগ করেন ৪৫ রান।

এরপর আবার বাংলাদেশের বোলারদের তোপ। তাতে ৩ উইকেটে ৫৩ থেকে দ্রুতই ভারতের স্কোর হয়ে যায় ৭ উইকেটে ৬২! সেখান থেকে তারা একশ পেরোতে পারে মূলত করণ লালের ৪৩ বলে ৩৭ রানের কল্যাণে।

ভারতকে অল্প রানে গুটিয়ে দিতে শামীম ৮ রানে ও মৃত্যুঞ্জয় ১৮ রানে নেন ৩টি করে উইকেট। কিন্তু তাদের দারুণ বোলিং মাটি করে দিলেন ব্যাটসম্যানরা। শিরোপা জয়ের খুব কাছে গিয়েও স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় পুড়ল যুবারা।

আজকের বাজার/এমএইচ