ফোর জি নিলাম নভেম্বরে

আজকের বাজার প্রতিবেদন
চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল সেবা ফোর জি আগামী ডিসেম্বর মাসেই চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। আর এজন্য নভেম্বরের শেষের দিকে ফোর জি তরঙ্গ নিলাম শেষ করা হবে।
সম্প্রতি সচিবালয়ে ফোর জি সেবা নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান। প্রতিমন্ত্রী জানান, নিলামের মাধ্যমে ১১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের চিন্তা করছে সরকার।
তারানা হালিম বলেন, টার্গেট নভেম্বরের শেষের দিকে নিলাম সম্পন্ন করব এবং ডিসেম্বরের মধ্যে ফোর জি সুবিধা জনগণকে প্রদান করতে সক্ষম হব।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২১০০ মেগাহার্টজে পাঁচটি, ১৮০০ মেগাহার্টজে চারটি ও ৯০০ মেগাহার্টজে দুটো ব্লকে নিলাম হবে। নিলামে যদি আমাদের প্রস্তাবিত বিভিন্ন ব্লক বিক্রি করা সম্ভব হয়, তাহলে সেই ক্ষেত্রে সরকার কমপক্ষে ১১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করতে সক্ষম হবে। তিনি জানান, এটা শুধু তরঙ্গ নিলাম এবং টেকনোলজি নিরপেক্ষতার যে ফি আছে, তা দিয়ে এ রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে।
তারানা হালিম জানান, তরঙ্গ নিলাম গাইডলাইন, সেই সঙ্গে ফোর জি লাইসেন্সিং গাইডলাইন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন দিয়েছেন। এই নিলামকে যে অপারেটররা আছেন তারা অংশ নিতে পারবেন এবং প্রাক মূল্যায়নে উত্তীর্ণ নতুন প্রতিষ্ঠান ২১০০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ নিলামে অংশ নিতে পারবেন। উক্ত ব্যান্ডে বিজয়ী হলে পরবর্তী সময়ে তারা ১৮০০ ও ৯০০ মেগাহার্টজের তরঙ্গ নিলামে অংশ নিতে পারবেন।
ফোর-জির প্রস্তাবিত গাইডলাইন নিয়ে অপারেটরদের সঙ্গে কথা বলার পর কিছু সংশোধন আনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ১৮০০ মেগাহার্টজ স্পেকট্রামের ক্ষেত্রে প্রতি মেগাহার্টজের ভিত্তিমূল্য ছিল ৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, সেখান থেকে পরিবর্তন করে ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার করা হয়। এক্ষেত্রে বর্তমান স্পেকট্রাম থেকে টেকনোলজি নিউট্রালিটি স্পেকট্রাম কনভার্সনের (রূপান্তর) জন্য প্রতি মেগাহার্টজের দাম ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার করা হয়েছে।
৯০০ মেগাহার্জের স্পেকট্রামের ক্ষেত্রে বর্তমান স্পেকট্রাম থেকে টেকনোলজি নিউট্রালিটি স্পেকট্রাম কনভার্সনের জন্য প্রতি মেগাহার্টজের ফি ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে কমিয়ে ৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ ছাড়া আরও কিছু পরিবর্তন করেছি, যেগুলো অনুমোদন হয়েছে। আবেদন করার যোগ্যতার ক্ষেত্রে অপারেটরদের বিদেশি অংশীদারকে বাংলাদেশ থেকে কোনো ঋণ না নিয়ে বৈদেশিক বিনিয়োগের বিধানটি বাদ দিয়েছি, তারা বাংলাদেশের যেকোনো ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবেন।
তারানা জানান, লাইসেন্স অ্যাকুইজেশন ফি ১৫ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে ১০ কোটি টাকা করা হয়েছে। বার্ষিক লাইসেন্স ফি ৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা থেকে কমিয়ে ৫ কোটি টাকা করা হয়েছে। গ্রস রেভিনিউ শেয়ারিং ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে।
তারানা হালিম বলেন, পারফরমেন্স ব্যাংক গ্যারান্টির ক্ষেত্রে চারটি ব্যাংক গ্যারান্টির পরিবর্তে থ্রিজি লাইসেন্সিং গাইডলাইনের মতো তিনটি ব্যাংক গ্যারান্টি প্রদান এবং রোল আউট ঠিক মতো করেছেন সেই সাপেক্ষে অবমুক্ত করার বিধান রাখা হয়েছে। রোল আউট বাধ্যবাধকতায় থ্রিজি লাইসেন্সের মতই করা হয়েছে। কল রেকর্ডের ক্ষেত্রেও আমারা তথ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। অন্যান্য ক্ষেত্রে সে রকম কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি, যেমন ছিল মোটামুটি তেমনই রাখা হয়েছে।
আজকের বাজার: সালি / ০২ অক্টেবর ২০১৭