ফ্ল্যাট ক্রয়ে ঋণের সুদহার কমাচ্ছে হাউস বিল্ডিং

আজকের বাজার প্রতিবেদন
ফ্ল্যাট ক্রয়ে ঋণের সুদহার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে সিঙ্গেল ডিজিট করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন (বিএইচবিএফসি)। প্রতিষ্ঠানটি এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা শিগগির অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে পাঠাবে। মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন পেলেই এটি কার্যকর করা হবে।
ফ্ল্যাট ক্রয়ে ব্র্যাক ব্যাংক, ইস্টার্ন, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, সিটি ব্যাংক, আইএফআইসিসহ অনেক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ৯ শতাংশ বা এর কমে ঋণ প্রদান করছে। সার্বিকভাবে ঋণের সুদহার কমে যাওয়ার প্রেক্ষিতে বিএইচবিএফসিও ফ্ল্যাট ক্রয়ে ঋণের সুদহার সিঙ্গেল ডিজিট করার উদ্যোগ নিয়েছে।
এ বিষয়ে বিএইচবিএফসির পরিচালনা পর্যদের চেয়ারম্যান শেখ আমিনউদ্দিন আহমেদ বলেন, ঋণের সার্বিক সুদহার হ্রাসের প্রেক্ষিতে আমরা চলতি বছরে গৃহ নির্মাণ ও ফ্ল্যাট ক্রয়ে ঋণের সুদহার হ্রাস করেছি। গৃহঋণ ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ৯ শতাংশ করা হয়েছে। আর ফ্ল্যাট ক্রয়ের সুদহার ১০ শতাংশ করা হয়। এখন এটা সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
তিনি জানান, পরিচালনা পর্ষদের পরবর্তী সভায় এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব চূড়ান্ত করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। অনুমোদন পেলেই এটি কার্যকর হবে।
উল্লেখ, বর্তমানে ফ্ল্যাট ক্রয়ের জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় ১০ শতাংশ সুদহারে সর্বোচ্চ ৮০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া টঙ্গী ও সাভার পৌর এলাকাসহ বিভাগীয় জেলা সদরে দশ শতাংশ হারে ঋণের সর্বোচ্চ সিলিং ৬০ লাখ।
বিএইচবিএফসি সূত্র জানায়, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ঢাকা ও চট্টগ্রাম নগরীতে ফ্ল্যাট ক্রয়ে ঋণের সিলিং ৪০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৮০ লাখ টাকা এবং ঋণের সুদহার ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়। এছাড়া টঙ্গী ও সাভার পৌর এলাকা এবং দেশের সকল বিভাগীয় জেলা সদরে ঋণের সিলিং ৪০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৬০ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয় এবং সুদহার ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি গৃহ নির্মাণে ঋণের সুদহার সর্বোচ্চ আড়াই শতাংশ কমিয়ে সাড়ে ৯ শতাংশ এবং ঋণের পরিমাণ ৫০ লাখ থেকে বাড়িয়ে এক কোটি টাকা করা হয়।
আবাসন খাতে ঋণ প্রদানকারী সরকারের একমাত্র প্রতিষ্ঠান বিএইচবিএফসি এখন স্বল্প সুদে পল্লী অঞ্চলেও গৃহ নির্মাণ এবং ফ্ল্যাট ক্রয়ে ঋণ প্রদান করছে। বিগত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটি ১৬৬ কোটি ৯১ লাখ টাকার নীট মুনাফা অর্জন করেছে।